পারিবারিক ক্ষেত্রে বহু প্রচেষ্টার পর শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম উন্নতিতে আনন্দ লাভ। অর্থকর্মে শুভ। ... বিশদ
রেল সূত্রে জানা গেছে, এদিন গোড্ডাগামী কয়লা বোঝাই মালগাড়িটি তারাপীঠ রোড স্টেশন অতিক্রম করার সময় হঠাৎই শেষ বগির চাকা ভেঙে বসে যায়। যার জেরে লাইনচ্যুত হয় বগিটির অন্যান্য চাকা। স্তব্ধ হয়ে যায় আপ মেন লাইন ও রিভার্সিবল লাইনের ট্রেন চলাচল।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে উদ্ধারকারী দল এবং রেল কর্তারা। তাঁরা মালগাড়ির চাকা মেরামতের পাশাপাশি অন্য লাইন দিয়ে যাতে ট্রেন চলাচল শুরু করা যায়, সেই কাজে হাতে লাগান। এদিকে ঘটনার জেরে বিভিন্ন স্টেশনে আপ ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। রামপুরহাট জিআরপি আইসি সুখেন্দু মণ্ডল বলেন, সাঁইথিয়া স্টেশনে মিনিট কুড়ি পড়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় হাওড়া নিউ জলপাইগুড়ি বন্দেভারত এক্সপ্রেসকে। মল্লারপুর স্টেশনে আটকে পড়ে আপ গণদেবতা এক্সপ্রেস এবং বর্ধমান তিনপাহাড় লোকাল। এছাড়া বিভিন্ন স্টেশনে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস সহ সহ বিভিন্ন দূরপাল্লার ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। স্বভাবতই তীব্র যাত্রী ভোগান্তি শুরু হয়। যদিও তিনপাহাড় লোকালের অনেক যাত্রী নেমে বাস ধরে রামপুরহাটে আসেন। অবশেষে ১০টা বেজে ৫০ মিনিট নাগাদ রিভার্সিবল এবং ডাউন মেন লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। যদি আপ মেন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে মালগাড়িটি। পরে ক্ষতিগ্রস্ত বগি ছেড়ে বাকি বগিগুলি নিয়ে মালগাড়িটি গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয়। দুপুর নাগাদ বগির চাকা সারিয়ে ক্রেন দিয়ে লাইনে তুলে সেটি রামপুরহাট জংশনে নিয়ে আসা হয়। ঘটনায় এদিন অধিকাংশ ট্রেন দেরিতে চলাচল করেছে।
ভোগান্তির মুখে পড়া যাত্রীরা বলেন, ক্রমশ রেল যাত্রা দুর্ভোগের হয়ে উঠেছে। কখনও দুর্ঘটনা। কখনও আবার বেলাইন হয়ে যাচ্ছে। আবার কখনও ইঞ্জিন বিকল। অথচ রেলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যাত্রী পরিষেবায় উন্নত হচ্ছে রেল। কিন্তু কোথায়? নিশ্চয় নজরদারির কোন অভাব রয়েছে। যাত্রীবাহী চলন্ত ট্রেনে এমন ঘটনা ঘটলে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। যদিও কীভাবে এদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ পূর্ব রেলের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। তারাপীঠ রোড স্টেশনে রিভার্সিবল এবং ডাউন মেন লাইন উপলব্ধ থাকায় ঘটনার এক ঘণ্টা দশ মিনিট পর আপ ও ডাউন উভয় ট্রেন চলাচল শুরু করে। পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন রেল কর্তারা।