পারিবারিক ক্ষেত্রে বহু প্রচেষ্টার পর শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম উন্নতিতে আনন্দ লাভ। অর্থকর্মে শুভ। ... বিশদ
কীভাবে হতো এই প্রতারণা? পুলিস সূত্রে খবর, একটি অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে তারা এই প্রতারণা করত। এজন্য তারা নিজেদের এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় গিয়ে দোকান থেকে ইচ্ছেমতো জিনিস কেনে। তারপর ওই অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনের সাহায্যে দোকানের কিউআর কোড স্ক্যান করে। স্ক্যান করতেই ওই অ্যাপ্লিকেশন থেকে দোকানদারের নাম সহ ‘পেমেন্ট সাকসেসফুল’ নোটিফিকেশন প্রতারকদের মোবাইলে দেখিয়ে দেয়। সেই মেসেজ তারা দোকানদারকে দেখিয়ে দেয়। যেসব দোকানে ভিড় থাকে, সেখানে গিয়ে এভাবেই এই যুবকরা প্রতারণা করত।
দুই সপ্তাহ আগে, বহরমপুরের মোহনা বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া একটি দোকানে গিয়ে এরা প্রায় ৩৫০টাকার জিনিসপত্র কেনে। একই কায়দায় টাকা না দিয়েই চলে আসে। কিন্তু প্রতারকদের মোবাইলে ‘পেমেন্ট সাকসেসফুল’ দেখালেও তাঁর অ্যাকাউন্টে যে টাকা ঢোকেনি, সেটা ওই ব্যবসায়ী মনে রেখে দেন। ফের শুক্রবার বিকেলে ওই দুই যুবক একই দোকানে গিয়ে কেনাকাটা করে। বিল হয় প্রায় তিনহাজার টাকা। এবারও তারা ওই ব্যবসায়ীকে একই কায়দায় বোকা বানানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ‘পেমেন্ট সাকসেকফুল’ নোটিফিকেশন দেখানোর পর বেশ কিছুক্ষণ কেটে গেলেও অ্যাকাউন্টে টাকা না ঢোকায় দোকানদার ওই যুবকদের দাঁড় করিয়ে রাখেন। একসময় তারা পালানোর চেষ্টা করলে দোকানদার ধাওয়া করে ধরে ফেলেন। খবর পেয়ে বহরমপুর থানার পুলিস গিয়ে ওই যুবকদের গ্রেপ্তার করে।
বহরমপুর থানার আইসি উদয়শঙ্কর ঘোষ বলেন, নতুন কায়দায় প্রতারণা শুরু করেছিল এই দুই যুবক। শহরের বেশ কিছু জায়গায় এরা এভাবেই প্রতারণা করেছে।
ধৃতদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। এরা একটি নির্দিষ্ট ভুয়ো অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করত। এবিষয়ে ব্যবসায়ীদের সচেতন করা হবে।