পারিবারিক ক্ষেত্রে বহু প্রচেষ্টার পর শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম উন্নতিতে আনন্দ লাভ। অর্থকর্মে শুভ। ... বিশদ
মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, হিলভিউ সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষদের জমির মিউটেশন, কনভারসন হয়নি। তার সুযোগ নিয়ে অসাধু চক্র নকল জমির দলিল বানিয়ে এলাকা দখলের চেষ্টা করছে। ওখানকার বাসিন্দারা উদ্বিগ্ন হয়ে আমার কাছে মাস পিটিশন করেছিল। তাঁদের জমির আইনি জট কাটানো নিয়েই এদিন বিস্তারিত চর্চা হয়েছে। কয়েক মাস আগের ঘটনা, আপার হিলভিউ এলাকা জমির দখল নিয়ে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। একটি নির্মীয়মাণ আবাসনে চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। রড, লাঠি নিয়ে মারধর করা হয়। পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পাড়ায় গিয়ে বৈঠক করে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে হয় মন্ত্রীকে। এই অবস্থায় উঠে আসে আরও বড় সমস্যার কথা। বাসিন্দারা জানান, তাঁদের জমিতে বাড়ি হলেও তার কোন মিউটেশন নেই। স্বাভাবিকভাবেই মিউটেশন ছাড়া কনভারসনও হয়নি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাফিয়ারা ভালোমতো বিষয়টি জানে। সেই কারণেই বিভিন্ন জমির নকল দলিল বের করে তারা এলাকা দখলের চেষ্টা করছে। দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করা বাসিন্দারা ভিটেমাটি হারানোর আশঙ্কা গ্রাস করে। এই অবস্থায় তাঁরা মন্ত্রীর দ্বারস্থ হন। কীভাবে এখন ঘটনা? আসানসোল পুরসভার মেয়র পরিষদ সদস্য গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, বহু কাল আগে ক্রিস্টান ব্রার্দাসদের জমি ছিল এইগুলি। তাঁরা বিভিন্ন ইংরেজি মাধ্যম স্কুলকে জমি দেয়। বহু ব্যক্তিও তাঁদের কাছ থেকে জমি নিয়েছিলেন। সেই জমিতেই বাড়ি বানিয়ে তোলেন। জমির দলিল থাকলেও সেখানে আর মিউটেশন করা যায়নি। প্রশ্ন উঠছে মিউটেশন না থাকা জমিতে কীভাবে বিল্ডিং প্ল্যান পাস হচ্ছে, পুরসভা কর সংগ্রহও কীভাবে করছে? গুরুদাসবাবু বলেন, অনেক আগেই নির্মাণগুলি গড়ে উঠেছে। আর পুরসভা বাড়ি থাকলেই ট্যাক্স নিতে পারে।
প্রশাসনি সূত্রে খবর, জট কাটানো নিয়ে তোড়জোড় শুরু হলেও বিষয়টি যথেষ্ট জটিল। মিউটেশন ছাড়া কোনও জমিতে বিল্ডিং গড়ে ওঠার কথা নয়। পাশাপাশি এসসি/এসটি অ্যাক্ট লাগু হবে এমন কিছু জমিও রয়েছে। তাই সেই সময় সস্তায় জমি কিনে বাড়ি করা বাসিন্দাদের ভাগ্যের শিকে ঝুলেই রয়েছে। যদিও সেখানে জমি মাফিয়াদের নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিস প্রশাসন সক্রিয় থাকবে বলেই সিদ্ধান্ত হয়েছে।