আজ কর্ম ভাগ্য অনুকূল। অর্থাগমের ক্ষেত্র বাড়বে। গবেষকদের পক্ষে উল্লেখযোগ্য সাফল্য ও স্বীকৃতি লাভের সম্ভাবনা। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিতুড়িয়া ব্লকের দীঘা গ্রাম পঞ্চায়েতের তিলতোড় গ্রামের বাসিন্দারা মনোতোষের গ্রামে ফেরার অপেক্ষায়। তাঁরা আনন্দে আত্মহারা। ফেব্রুয়ারিতে মনোতোষের গ্রামে ফেরার কথা। গ্রামের বাসিন্দারা তাঁকে সংবর্ধনা দিতে আয়োজন করছেন।
গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, মনোতোষের শৈশব কেটেছে নিতুড়িয়াতে। তাঁর বাবা কেন্দ্রীয় বাহিনীতে চাকরি করায় তাঁকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় থাকতে হয়েছে। তবে এখনও গ্রামে উৎসব অনুষ্ঠানে তাঁদের পরিবার আসে। ছোট থেকে ফুটবলের প্রতি তাঁর টান ছিল। তাই গ্রামের মাঠ হোক কিংবা শহরের মাঠ, যেখানে খেলা হতো সেখানেই ফুটবল খেলতে চলে যেতেন। উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর ফুটবলের প্রতি তাঁর টান বেড়ে যায়। বছর পঁচিশের মনোতোষ ২০১৭ সালে কলকাতার একটি ক্লাবে ফুটবলের কোচিং নিতে শুরু করেন। তালতলা, কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের হয়ে প্রথম ডিভিশনে খেলেন। তারপর জীবনে নানান ঘাত, প্রতিঘাত নেমে আসে। বাংলা দলে একাধিকবার সুযোগের জন্য চেষ্টা করেন। কিন্তু ২০২১, ২২, ২৩ সালের ট্রায়ালে বাদ পড়ে যান। তবে এবারে চান্স পেয়ে নিজের সমস্ত কিছু উজাড় করে দিয়েছিলেন।
মনোতোষ জানিয়েছেন, বাংলার মূল দল থেকে বাদ পড়তে পড়তে হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এবারের শেষ চেষ্টা করব। দলে সুযোগ পাওয়ার পর নিজের সমস্ত কিছু উজাড় করে দিয়েছিলাম। দলে ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলেছিলাম। ফাইনাল পর্যন্ত দলকে নিয়ে যেতে মোট ৬টি গোল করেছি ও পাঁচটিতে অ্যাসিস্ট করেছিলাম। সব কিছুই প্রধান প্রশিক্ষক সঞ্জয় সেনের জন্য সম্ভব হয়েছিল। রাজ্য সরকার আমাদের প্রচুর সম্মান দিয়েছে। রাজ্য পুলিসের এএসআই হিসাবে নিয়োগপত্র পেয়েছি। মনোতোষের দাদা রাজেশ মাজি বলেন, মনোতোষের জন্য আমরা সমস্ত নিতুড়িয়াবাসী গর্বিত। আমরা ওর গ্রামে আসার অপেক্ষায় রয়েছি। নিজস্ব চিত্র