আজ কর্ম ভাগ্য অনুকূল। অর্থাগমের ক্ষেত্র বাড়বে। গবেষকদের পক্ষে উল্লেখযোগ্য সাফল্য ও স্বীকৃতি লাভের সম্ভাবনা। ... বিশদ
মইশাগ্রামে শ্যামলবাবুর বাড়িতেও শতাধিক গাছ রয়েছে। গাছে জল দেওয়ার ফাঁকে শ্যামলবাবু বলেন, মাকে বাঁচাতে পারিনি। তারপর থেকে গাছই আমাদের জীবন। বট, অশ্বত্থ গাছ লাগিয়েছি ছ’হাজারের বেশি। মেদিনীপুর জেলায় এক লক্ষ গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করে এগিয়ে চলেছি। তিনি আরও বলেন, বহু মানুষ আছেন, যারা নিজেও গাছ লাগাবে না, আবার কেউকে গাছ লাগাতেও দেবে না।
উল্লেখ্য, প্রায় ৩৫ বছর আগে মা সরস্বতী বেরার সঙ্গে স্থানীয় মনসা মন্দিরে গিয়েছিলেন শ্যামলবাবু। তখন তিনি মাদপুর হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। সেই সময় তাঁর মা নির্দেশ দেন মন্দির প্রাঙ্গণে বট ও অশ্বত্থ গাছ লাগাতে। মায়ের নির্দেশ অনুসারে গাছ লাগিয়েছিলেন শ্যামলবাবু। পরবর্তী সময়ে পাঁশকুড়া কলেজে পড়াশোনা করার সময় তিনি রেলে চাকরি পান। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই তাঁর মা জ্বর ও কাশির উপসর্গ নিয়ে মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানেই তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়। এরপর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন শ্যামলবাবু। একইসঙ্গে গাছ লাগানোর কাজ জোরকদমে শুরু করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানাগিয়েছে, এখনও পর্যন্ত শ্যামলবাবু পাঁশকুড়া, জাকপুর, মাদপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বিপুল পরিমাণে গাছ লাগিয়েছেন। পাশাপাশি ডেবরা হরিমতি সারস্বত বিদ্যামন্দির সহ একাধিক স্কুল, বাজার, শিশু উদ্যানে গাছ লাগিয়েছেন শ্যামলবাবু। তিনি রাস্তায় ঘুরে ঘুরে আম, জাম, কাঠাল, বট ও অশ্বত্থ গাছের চারা সংগ্রহ করেন। এরপর বাড়িতেই সেই চারা গাছের দেখভাল করেন তিনি। পরে সেই গাছ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে লাগান। তাঁর এই কাজকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। জকপুরের স্বপন মণ্ডলের বলেন, উনি গাছ ভীষণ ভালোবাসেন। এলাকায় প্রচুর গাছ লাগিয়েছেন। রাস্তার ধারে কোনও গাছ অবহেলিত হয়ে পড়ে থাকতে দেখলে, তিনি গাছটির যত্ন করেন। ওঁর এই কাজ প্রশংসার যোগ্য। শ্যামল বেরা।-নিজস্ব চিত্র