একাধিক সূত্র থেকে আয় ও সঞ্চয় বৃদ্ধির যোগ। কাজকর্মে উন্নতি হবে। মানসিক চঞ্চলতা ও ভুল ... বিশদ
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেলে মুর্শিদাবাদ পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জনবহুল রামকৃষ্ণপল্লিতে বোমা বিস্ফোরণ হয়। স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ফরিদ শেখ বাড়ির উঠানে চালার নীচে বামা বাঁধছিল। সেই সময় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। জানা গিয়েছে, বছর ছয়েক আগে ফরিদ বহরমপুর থানার শিয়ালমারা এলাকা থেকে এসে রামকৃষ্ণপল্লিতে বসবাস শুরু করে। তার বাড়ির দরজা সব সময় বন্ধ থাকত। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথাবার্তা বলত না। ঘটনার পর থেকে থমথমে গোটা এলাকা। বাসিন্দারা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। তাঁদের চোখেমুখে ভয়ের ছাপ স্পষ্ট লক্ষ্য করা গিয়েছে। এরই মধ্যে শনিবার সকালে ওই বাড়ি থেকে পুলিস আটটি সকেট বোমা এবং বোমা তৈরির সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করে। বহরমপুর থেকে সিআইডি বম্ব ডিস্পোজাল স্কোয়াড এসে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করে। রামকৃষ্ণপল্লির মতো একটা জনবহুল এলাকায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় পুরসভা ও পুলিস প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। কংগ্রেসের লালবাগ শহর সভাপতি অর্ণব রায় বলেন, রামকৃষ্ণপল্লি থেকে পাওলিবাগ, শালবাগান হয়ে বরফখানা পর্যন্ত তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে। ফরিদের মতো দুষ্কৃতীরা স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সম্পদ। চেয়ারম্যানের সঙ্গে ফরিদ শেখের এক ফ্রেমে ছবি তার প্রমাণ। গত পঞ্চায়েতে এদের দিয়েই শাসক দল ভোট লুট করেছিল। মুর্শিদাবাদ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, ফরিদ তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে চেয়ারম্যানের সঙ্গে ফরিদ শেখকে দেখা গিয়েছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ভোট লুটের জন্য ফরিদ শেখের মতো দুষ্কৃতীদের দিয়ে বোমা মজুত করা হচ্ছিল। কারণ ভোটে জিততে বোমা, পিস্তল, বারুদ, ছাপ্পা, ধাপ্পাই সম্বল। মুর্শিদাবাদ পুরসভার চেয়ারম্যান ইন্দ্রজিৎ ধর বলেন, আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে পাঁচজন পুরকর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদেরই একজনের ঘনিষ্ঠ ফরিদ। আমি নিশ্চিত আমাকে খুনের উদ্দেশ্যেই ফরিদের বাড়িতে বোমা তৈরি করে মজুত করা হচ্ছিল। কারণ, মালদহের কাউন্সিলার খুনের ঘটনার দিন বিকেলেই ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানতে পারি শহরের এক জায়গায় আলোচনা হচ্ছে, খুব শীঘ্রই মালদহের ঘটনা লালবাগেও ঘটবে। তারপরেই বিষয়টি আমি জেলা নেতৃত্ব থেকে পুলিস প্রশাসনকে জানাই। অতিরিক্ত পুলিস সুপার রাসপ্রিত সিং বলেন, হাসপাতালে জখম ব্যক্তির চিকিৎসা চলছে। সুস্থ হলেই হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তারপরেই জানা যাবে কেন বোমা তৈরি হচ্ছিল।