একাধিক সূত্র থেকে আয় ও সঞ্চয় বৃদ্ধির যোগ। কাজকর্মে উন্নতি হবে। মানসিক চঞ্চলতা ও ভুল ... বিশদ
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ৭অক্টোবর মাইসোরায় খুন হন তৃণমূল নেতা কুরবান শা। ওই সময় তিনি পার্টির ব্লক কার্যকরী সভাপতি এবং পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি ছিলেন। ওইবছর নভেম্বর মাসে আনিসুর পুলিসের হাতে ধরা পড়েন। তারপর অন্তত ২০বার নিম্ন আদালত, উচ্চ আদালত এবং সর্বোচ্চ আদালতে আনিসুরের জামিনের আর্জি খারিজ হয়েছে। সম্প্রতি হাইকোর্টে জামিনের আর্জি খারিজ হওয়ার পর তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। পাঁচ বছর পর সেখানেই স্বস্তি পেলেন।
মুখ্যমন্ত্রীর অত্যন্ত আস্থাভাজন আনিসুর জামিন পেতেই পূর্ব মেদিনীপুরে বিজেপির পাশাপাশি শাসক দলের একটা বড় অংশ আতঙ্কিত। ভবিষ্যতে এই জেলায় দলের নিয়ন্ত্রণ তাঁর হাতে গেলে ওই নেতাদের ভবিষ্যৎ সঙ্কটে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন। বিশেষ করে পাঁশকুড়ার বেশ কয়েকজন নেতা বেশ উদ্বিগ্ন। একইসঙ্গে বিজেপিও বেশ টেনশনে। সাংগঠনিক দক্ষতা ও নিজের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব গুণে আনিসুর এই জেলার তাবড় নেতাদের মধ্যে একজন হয়ে উঠেছিলেন। যদিও তৃণমূলে থাকাকালীন তাঁকে অপছন্দ করত কাঁথি লবি। সেই জন্য বহু ঘাত প্রতিঘাতের মুখোমুখি হতে হয়েছে। কিন্তু, সেই বাধা এখন আর নেই। তাঁর সামনে প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি। ২০২৬বিধানসভা ভোটের আগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলে আনিসুর গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে পারেন। আর এই অজানা আশঙ্কাতেই ভুগছে দলের একটা অংশ। পাঁশকুড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুজিত রায় বলেন, আনিসুর রহমান একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তিনি জামিন পাওয়ায় পাঁশকুড়া তথা এই জেলার তৃণমূল কর্মীরা উজ্জীবিত। তিনি নেতৃত্বে ফিরলে দল শক্তিশালী হবে। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর আস্থাভাজন। আগামী দিনে তিনি এই জেলায় দলকে শক্তিশালী করার কাজে নিযুক্ত হবেন বলে আশা করছি। নিহত কুরবান শা-র দাদা আফজল শা বলেন, আমার ভাই দল করতে গিয়ে খুন হয়েছেন। অথচ, সেই খুনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত আনিসুর রহমানের পাশে দাঁড়িয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। মামলার সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কলকাতা সিটি সেশন কোর্টে সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া চলছে। আমরা জানি, সুবিচার মিলবেই। একাধিক শর্ত চাপিয়ে আনিসুরের জামিন মঞ্জুর করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শর্ত ভাঙলেই পরোয়ানা জারি করবে আদালত। পাঁশকুড়ার বিজেপি নেতা সিন্টু সেনাপতি বলেন, আনিসুর জামিন পাওয়ায় পাঁশকুড়ার তৃণমূল নেতারা উদ্বিগ্ন। এতে বিজেপির কোনও ক্ষতি হবে না।