একাধিক সূত্র থেকে আয় ও সঞ্চয় বৃদ্ধির যোগ। কাজকর্মে উন্নতি হবে। মানসিক চঞ্চলতা ও ভুল ... বিশদ
রেলের আইআরডি বিভাগের আধিকারিক ডি. ত্রিনাথ বলেন, কলাইকুণ্ডা থেকে ঝাড়গ্রাম স্টেশন পর্যন্ত অটোমেটিক নন-ইন্টারলকিং ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। পরবর্তী পর্যায়ে ঘাটশিলা, টাটা পর্যন্ত এই ব্যবস্থা চালু হবে। নতুন ব্যবস্থায় ট্রেন লেটের সমস্যা অনেকটাই মিটবে।
ঝাড়গ্রামে যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম ট্রেন। অল্প সময়ে ট্রেনে যে পথ পেরোনো যায়, বাসে সেই পথ যেতে দ্বিগুণ সময় লাগে। আশপাশের জেলার বহু মানুষ কাজের প্রয়োজনে ঝাড়গ্রাম আসেন। পর্যটকদের একটা বড় অংশও ট্রেনে ঝাড়গ্রাম আসতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। দেরিতে ট্রেন চলায় নিত্যযাত্রী ও পর্যটকদের চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছিল। এনিয়ে পর্যটন ব্যবসায়ীরা উদ্বেগ প্রকাশ করছিলেন।
ঝাড়গ্রাম স্টেশনের উপর দিয়ে স্টিল, হাওড়া জনশতাব্দী, ইস্পাত এক্সপ্রেস, মেমু ছাড়াও ঘাটশিলা, সাঁতরাগাছি লোকাল চলাচল করে। এসমস্ত ট্রেন দেরিতে চলা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছিল। অবশেষে সেই সমস্যা মিটতে চলছে। ঝাড়গ্রাম স্টেশনের সিগন্যালিং পরিচালনার দায়িত্বে থাকা এক রেল আধিকারিক বলেন, ট্রেন চলাচলের জন্য মূলত ছয়টি সিগন্যালিং ব্যাবস্থা থাকে। এই রেলপথে পুরনো সিগন্যালিং ব্যবস্থায় ট্রেন চলাচল করত। এই ব্যবস্থায় বেশি সংখ্যক ট্রেন চালানো সম্ভব ছিল না। অন্য রুটে ট্রেন লেট করলে এই রুটেও প্রভাব পড়ত। ট্রেন পাস করানোর ক্ষেত্রে সমস্যা হতো। নতুন অটোমেটিক সিগন্যালিং ব্যবস্থায় বেশি সংখ্যক ট্রেন চালানো যাবে। ট্রেনের গতিও আগের চেয়ে বাড়বে। দেরিতে ট্রেন চলার সমস্যা অনেকটা মিটবে।
ঝাড়গ্রাম শহরের বাসিন্দা সুশান্ত ভৌমিক বলেন, স্টিল এক্সপ্রেসে সবচেয়ে বেশি যাত্রী ওঠেন। আপ ও ডাউন ইস্পাত এক্সপ্রেস ও অন্য ট্রেনেও অনেকে যাতায়াত করেন। কমবেশি সমস্ত ট্রেন দেরিতে চলছিল। ট্রেন লেট কমলে জেলার মানুষের যাতায়াতের দীর্ঘদিনের সমস্যা মিটবে।
ঝাড়গ্রাম জেলা হোটেলওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শিবাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই জেলা রাজ্যের অন্যতম পর্যটনস্থল। উৎসবের মরশুম ছাড়াও সারা বছর পর্যটকরা এখানে বেড়াতে আসেন। শনি ও রবিবার পর্যটকদের ভিড় সবচেয়ে বেশি হয়। ট্রেন লেটের কারণে তাঁরাও সমস্যায় পড়ছিলেন। এই সমস্যা মিটলে পর্যটক সংখ্যা বাড়বে বলে আমি আশাবাদী।