একাধিক সূত্র থেকে আয় ও সঞ্চয় বৃদ্ধির যোগ। কাজকর্মে উন্নতি হবে। মানসিক চঞ্চলতা ও ভুল ... বিশদ
প্রশাসনের কর্মী-আধিকারিকদের উদ্দেশে বলেন, মানুষের কাজ করার জন্য সরকার আপনাদের মাইনে দিচ্ছে। প্রতিটি কাজ ভালবেসে, হৃদয় দিয়ে করতে হবে। পুর প্রশাসক এখানে ভালবেসে, আবেগ দিয়ে কাজ করছেন। হলদিয়ার মানুষ যখন তা উপলব্ধি করবেন, আরও মানুষ পুর পরিষেবায় উপকৃত হবেন, তখন পুর প্রশাসকের কাজ সার্থক হবে। এদিনের অনুষ্ঠানে জেলা পুলিস সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য, হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের(এইচডিএ) চেয়ারম্যান জ্যোতির্ময় কর, সংস্থার চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার কোন্থাম সুধীর, হলদিয়া পুরসভার প্রশাসক তথা মহকুমাশাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন।
জেলাশাসক বলেন, পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে আচমকা পরিদর্শনে ভালো কাজের প্রমাণ পেয়েছি। মানুষ পুর পরিষেবার প্রশংসা করেছেন। তিনি অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে বাস্তবমুখী প্রকল্পে সরকারি টাকা ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এদিন জেলাশাসকের পাশাপাশি পুলিস সুপার এবং এইচডিএ’র চেয়ারম্যানও হলদিয়া পুরসভার কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন। হলদিয়া পুরসভায় প্রায় আড়াই বছর পুরবোর্ড নেই। প্রশাসকের নেতৃত্বেই পুরসভা চলছে। প্রশাসকের ২৮মাসের কার্যকালে পুর পরিষবা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে একাধিকবার শাসক ও বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছে। হলদিয়ার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা ও প্রাক্তন কাউন্সিলাররা রাজ্যের কাছে প্রশাসকের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ করেছেন। একটি প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী হলদিয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশও করেন। কিন্তু শালুকখালি, ঝিকুরখালি, গেঁওডাবের মতো শহরের পিছিয়ে থাকা ওয়ার্ডের বাসিন্দারা দীর্ঘ ২৭ বছর পর নলবাহিত পানীয় জল, পথবাতি পেয়ে দারুণ খুশি। তাঁরা পুরসভার পরিষেবা ও উন্নয়ন ভাবনার প্রশংসা করছেন। এই পরিস্থিতিতে জেলাশাসকের বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিন পুরসভার নয়টি প্রকল্পের উদ্বোধন হয়। এর বেশিরভাগই পরিবেশসুরক্ষা, পরিবেশের উপর নজরদারি সংক্রান্ত প্রকল্প। পুর প্রশাসক বলেন, এবার থেকে পুরসভা সৌরবিদ্যুতে চলবে। এজন্য ৯০লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি বছর বিদ্যুৎবিল বাবদ পুরসভার ১০লক্ষ টাকা সাশ্রয় হবে। হলদিয়ার পরিবেশের উপর নজরদারির জন্য একটি অ্যাপ চালু হয়েছে। ২৯টি ওয়ার্ডের জন্য আবর্জনা সংগ্রহের বিশেষ গাড়ি চালু হয়েছে। নর্দমা সাফাইয়ের জন্য সাকশন মেশিন চালু হয়েছে। পুরসভার নিজস্ব স্কুল পৌর পাঠভবনে ভেষজ উদ্যান হয়েছে। পুলিসের কাজের সুবিধার জন্য দূষণ মাপতে স্মোক অ্যানালাইজার দেওয়া হয়েছে। এদিন শহরবাসীর জন্য আধুনিক জিমখানা চালু হয়। এদিকে, অনুষ্ঠানের শুরুতেই পুলিস সুপার ও অন্য পুলিস আধিকারিকদের ঘেরাও করেন হলদিয়ার বিভিন্ন আবাসনের বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, দুর্গাচক থানা এলাকায় একের পর এক সরকারি আবাসনে দিনদুপুরে চুরি হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দেন জেলাশাসক ও এইচডিএ-র চেয়ারম্যান। তাঁরা এনিয়ে আবাসিকদের সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠকের আশ্বাস দেন। • শনিবার হলদিয়া পুরসভার একগুচ্ছ পরিষেবামূলক প্রকল্পের সূচনা হল। -নিজস্ব চিত্র