একাধিক সূত্র থেকে আয় ও সঞ্চয় বৃদ্ধির যোগ। কাজকর্মে উন্নতি হবে। মানসিক চঞ্চলতা ও ভুল ... বিশদ
হাসপাতাল ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই নার্সের নাম আমিনা সুলতানা(২৬)। তাঁর বাড়ি বেলডাঙায়। ২০২৩ সালে নার্স হিসেবে ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যোগ দেন। হাসপাতালের এসএনসিইউ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। প্রায় ১০ মাস আগে এলাকার তানবীর আজিম নামে এক যুবকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। হাসপাতালের কাছেই বিডিও মোড় সংলগ্ন এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে তিনি থাকতেন। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে হাসপাতাল থেকে ডিউটি করে তিনি ভাড়া বাড়ি গিয়েছিলেন। এরপর অন্যান্য দিনের মতো ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন আমিনা। ভাড়া বাড়ির মালিকের দাবি, শুক্রবার তিনি আমিনার মধ্যে তেমন অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করেননি। অন্যান্য দিনের মতোই হাসিখুশি মেজাজে ডিউটি থেকে ফিরেছিলেন। শনিবার সকালে স্ত্রীকে ফোনে না পেয়ে তাঁকে কল করেন তানবীর। স্ত্রীকে ডেকে দেওয়ার জন্য জানান। তিনি বিস্তর ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়াশব্দ না পেলে হাসপাতালের সহকর্মী ও স্থানীয় আত্মীয়দের খবর দেন। এরপরেই তাঁরা এসে দরজা ভাঙতেই ঘরের ভিতরে আমিনাকে বিছানায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
জানা গিয়েছে, সেই সময় বিছানার পাশের জানালাই একটি স্যালাইনের বোতল ঝোলানো ছিল। চ্যানেলের ছুঁচ তাঁর হাতে বিঁধে ছিল। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক জানান তাঁর মৃত্যু হয়েছে। আমিনার স্বামী বলেন, শুক্রবার আমার সঙ্গে আমিনার ফোনে কথা হয়েছিল। তখন আমিনা আমাকে জানিয়েছিল, ওর শরীর খারাপ। পরে গভীর রাতের দিকে ওকে ফের ফোন করি। তখন আমিনার ফোন বেজে গেলেও ও ধরেনি। আমি ভেবেছিলাম ও ঘুমিয়ে গিয়েছিল। শনিবার একটা নিমন্ত্রণ বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। সকালে অনেক বেলা পর্যন্ত ফোনে না পেয়ে ঘরের মালিককে আমিনার খোঁজ নিতে বলি। এরপরে হাসপাতালে এসেই জানতে পারি ও মারা গিয়েছে। আমাদের মধ্যে কোনও ঝামেলা ছিল না। ও মাঝে মধ্যে ডিহাইড্রেশনে ভুগত, নিজেই স্যালাইন নিত। কালকেও নিয়েছে কি না জানি না?
কিন্তু, সহকর্মীর এভাবে মৃত্যু মানতে পারছেন না অন্যান্য নার্স ও চিকিৎসকদের একাংশ। এক নার্স বলেন, আমিনা হাসিখুশি মেয়ে ছিল। ওর ব্যবহারও খুব ভালো। ও অসুস্থ হলে আমাদের জানাতে পারত। বদলে একা একা স্যালাইন টেনেছে, এই বিষয়টি নিয়েই আমাদের ধন্দ কাটছে না। স্যালাইনের চ্যানেলের মধ্যে কোনও বিষাক্ত কিছু নিয়েছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হোক।
ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার সৌরভ শীল বলেন, ও খুব হাসিখুসি মেয়ে ছিল। শুক্রবারও হাসপাতালে ডিউটি করেছিল। কীভাবে ওর মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে আমরাও ধন্দে রয়েছি। পুলিস মৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করুক। পুলিস জানিয়েছে, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার হবে।