একাধিক সূত্র থেকে আয় বৃদ্ধি ও সঞ্চয় যোগ। নতুন আয়ের দিশাও পেতে পারেন। খেলাধুলায় উন্নতি। ... বিশদ
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দু’দিন ধরে শিশুটি জ্বর ও বমি নিয়ে ভুগছিল। শুক্রবার খড়গ্রাম হাসপাতালের এক চিকিৎসককে দিয়ে শিশুর চিকিৎসাও করানো হয়েছিল। তাতে সে শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত সুস্থও ছিল বলে দাবি। এরপর আবারও সে অসুস্থ হতে থাকে। পরে শনিবার সকাল ৬টা নাগাদ কান্দি মহকুমা হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। মৃতের বাবা বিপন মণ্ডল বলেন, সকালে ভর্তির পরে ডাক্তারবাবু একবার ভিজিটে এসে ছেলেকে দেখে গেলেও কোনও ওষুধপত্র দেননি। শুধুমাত্র সেলাইন ও জল খাওয়ানোর পরামর্শ দেন। এরপর বিকেলে আবারও ওই ডাক্তারবাবু ভিজিটে আসেন। তিনি একটি রক্ত পরীক্ষা করতে বলেন। রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট দেখার পর ওষুধ দেবেন বলেছিলেন। কিন্তু ডাক্তারবাবু ছেলেকে দেখে যাওয়ার ৩০মিনিট পরই মারা যায়। আমার ছেলেকে বিনা চিকিৎসায় মরতে হল। আসলে ওই ডাক্তারবাবু চেম্বারে রোগী দেখতেই ব্যস্ত ছিলেন। আমার ছেলেকে চিকিৎসা করার প্রয়োজন মনে করেননি। মৃতের পিসি মধুমিতা মণ্ডল বলেন, সবসময় আমি ভাইপোর সঙ্গে ছিলাম। ডাক্তারবাবুকে বারবার ওষুধ দেওয়ার কথা বললেও তিনি কথা শোনেনি।
এদিকে সন্ধ্যার দিকে মৃতের পরিজন সহ গ্রামের একাংশ হাসপাতালের গেটে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সেইসময় চিকিৎসক বলরাম দত্তবণিককে হেনস্তা করেন মৃতের পরিজন। বলরামবাবু ওই শিশুর চিকিৎসা করছিলেন। যদিও চিকিৎসক সংবাদ মাধ্যমকে কিছু বলতে চাননি। পরে সেখানে কান্দি থানার পুলিস পৌঁছলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বিক্ষোভকারীদের হাসপাতালের গেট থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এবিষয়ে ওই হাসপাতাল সুপার রাজেশনাথ সাহা বলেন, বিষয়টি নিয়ে এসএমওএইচ বলবেন। আমার কিছু বলার নেই। কান্দি এসিএমওএইচ সৌমিক দাস বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগের সঙ্গে চিকিৎসককে হেনস্তার দিকটিও তদন্ত করা হবে। (শোকে ভেঙে পড়েছেন পরিজনরা। নিজস্ব চিত্র)