একাধিক সূত্র থেকে আয় বৃদ্ধি ও সঞ্চয় যোগ। নতুন আয়ের দিশাও পেতে পারেন। খেলাধুলায় উন্নতি। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থল আড়ংঘাটা স্টেশন সংলগ্ন রাস্তার পাশেরই একটি দোকান। ৫০ বছরের পুরনো ওই দোকানটি। বছরখানেক আগে দোকানদার প্রদীপকুমার মিত্রের মৃত্যু হয়। ওই দোকান ভাড়ায় রয়েছে তাঁদের। বর্তমানে দোকান চালান তাঁর স্ত্রী সরস্বতী মিত্র। অভিযোগ, স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ী ও জমি মাফিয়া দোকান ঘরের ওই জায়গাটি দখল করতে চাইছে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে আদালতেও মামলা চলছে। কিন্তু শুক্রবার রাতে দোকান নিয়ে এই টানাপোড়েন অন্যদিকে মোড় নেয়। অন্যান্য দিনের মতো, রাত ৯টা নাগাদ দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরে যান সরস্বতীদেবী। কিন্তু এদিন সকালে পুনরায় দোকান খুলতে গিয়ে দেখেন, প্রায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে দু’দিকের দেওয়াল। যা দেখে কার্যত মাথায় হাত দিয়ে রাস্তাতেই বসে পড়েন ওই মহিলা। তাঁর দাবি, এর আগেও দোকান ছেড়ে উঠে যাওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর পর দুই মেয়ে এবং তাঁর সংসারে আর্থিক অবলম্বন বলতে একমাত্র ওই দোকানটাই সব। স্বাভাবিকভাবেই, হুমকি সত্ত্বেও ভয়ের সঙ্গে ঘর করেই থাকতে হতো সরস্বতীদেবীকে। তিনি বলেন, একাধিকবার হুমকি দেওয়ার পরেও আমাকে দোকান ছাড়া করা যাচ্ছে না দেখে, স্থানীয় কয়েকজনের সহযোগিতায় আমার দোকানটাই ভেঙে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। এর আগেও চেষ্টা করেছিল অন্যভাবে। কিন্তু আমি আদালতে মামলা করেছি। আদালতের নির্দেশ রয়েছে বলে সেবারে আর এগোতে পারেনি। বিষয়টির পিছনে প্রোমোটার চক্রের হাত দেখছেন স্থানীয় একাংশ মানুষ।
জানা গিয়েছে, শনিবার মোট ১০জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে ধানতলা থানার আরংঘাটা ফাঁড়িতে। অন্যতম অভিযুক্ত তথা স্থানীয় ব্যবসায়ী শুকদেব দত্ত বলেন, অনেক পুরনো দোকান ঘর। তাই এমনি হয়তো ভেঙে পড়েছে। কেউ ওঁর দোকান ভাঙচুর করেনি। তবে বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিলেও, পুলিস রহস্যের গন্ধ পাচ্ছে। তারা ওই মহিলার তরফে দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে। - নিজস্ব চিত্র