একাধিক সূত্র থেকে আয় বৃদ্ধি ও সঞ্চয় যোগ। নতুন আয়ের দিশাও পেতে পারেন। খেলাধুলায় উন্নতি। ... বিশদ
কার্তিক পুজোর দিনে বজরংবলী পুজোয় শারদ উৎসবের মতোই উচ্ছ্বাসে ভাসে সূতিরমাঠ হালদারপাড়ার বাসিন্দারা। পাঁচ বছর আগে ইয়ং স্টার ক্লাবের সদস্যরা কথায় কথায় এই বজরংবলীর পুজোর সূচনা করেন। প্রথম বছর পুজো করার পর পরের বছর পাড়ার প্রায় চারশো পরিবার সম্মিলিতভাবে পুজোয় অংশগ্রহণ করেন। মানুষের উৎসাহের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে প্রতিমা, মণ্ডপসজ্জা, আলোকসজ্জার জাঁকজমকও।
পুজো কমিটির সদস্য সুরজিৎ হালদার, উৎস হালদার, টুবাই, বুবাইদের বক্তব্য, বজরংবলীর পুজোই আমাদের কাছে শারোদৎসব। এবছর চারদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার পুজোর পর সন্ধ্যায় প্রসাদ বিতরণ করা হয়। এরপরই শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বসেআঁকো প্রতিযোগিতা থেকে শুরু করে স্থানীয় শিল্পীর সঙ্গীত, নৃত্য, আবৃত্তির আয়োজন করা হয়েছে। ১৮ নভেম্বর বহিরাগত শিল্পীদের নিয়ে বাউল গানের আসর বসবে। এবারের প্রসাদে রয়েছে পোলাও, কাশ্মীরী আলুরদম, লাড্ডু ও কলা। প্লাস্টিক কন্টেনারে প্রায় তিন হাজার পরিবারে ওই প্রসাদ বিলি করা হয়।
হালদারপাড়ার বজরংবলীর পুজোয় মহিলাদের উৎসাহ চোখে পড়ার মতো। পুজোর সমস্ত উপাচারই মহিলারা করে থাকেন। পূর্ণিমা দাস, ঝুমা সাহা, মঞ্জুলা মজুমদাররা বলেন, এখানে শাস্ত্র মতে নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো হয়। পাশাপাশি পুজোয় আমরা চুটিয়ে আনন্দও করি। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহযোগে আগামী ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় ভাগীরথী নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হবে।