একাধিক সূত্র থেকে আয় বৃদ্ধি ও সঞ্চয় যোগ। নতুন আয়ের দিশাও পেতে পারেন। খেলাধুলায় উন্নতি। ... বিশদ
কাটোয়ার পানুহাটের ইয়ংস্টাফ ক্লাব এবার তাদের মণ্ডপ সাজিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের আদলে। কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে তারা রঙিন কাপড় ও বাঁশ দিয়েই আস্ত হাইকোর্টকে তুলে এনেছে। আবার পাশেই ইয়ংবয়েজ ক্লাব আস্থা রাখছে রাজ দরবারের বিচারেই। সত্যজিৎ রায়ের কালজয়ী সিনেমা হীরক রাজার দেশের আদলে তারা মণ্ডপ গড়েছে। পুজো উদ্যোক্তারা জানান, মণ্ডপে হীরের খনি থেকে সভাসদরা রয়েছেন। কাটোয়ার সবুজপাতা ক্লাবও হীরক রাজার দরবার ফুটিয়ে তুলেছে থিমের মাধ্যমে। এবার তারা প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা খরচ করেছে।
দেশবন্ধু ক্লাব বৃন্দাবনের প্রেম মন্দিরের আদলে থিমের মণ্ডপ গড়ে তুলেছে। পানুহাটের নিউ আপনজন ক্লাবও মথুরার প্রেম মন্দিরের আদলে মণ্ডপ গড়ে তুলেছে। ওঙ্কার ক্লাব বিশালাকার মহাদেব মূর্তি গড়েছে। তারা লাইট ও শব্দ দিয়ে এক নৈসর্গিক দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছে। নব প্রজন্মের থিমের মণ্ডপের আড়ালে হারিয়ে যায়নি পুরনো ঐতিহ্য।
এখনও পুরনো রেওয়াজ মেনে কাটোয়া শহরের হরগৌরী মন্দিরে ন্যাংটো কার্তিক পুজো হয়। একসময় ভাগীরথীর তীরে বাস করা বারবণিতারা এই কার্তিককেই পুজো শুরু করেছিলেন। সুবোধ স্মৃতি রোডে জুনিয়র উইলিয়ম কেরি সাহেব এসেছিলেন। সেই নামেই এখনও সাহেব বাগানপাড়া রয়েছে। সেখানে সাহেব কার্তিক পুজো করাই রেওয়াজ। এখানে ইংরেজ সাহেবের আদলে মূর্তি তৈরি হয়। তাই এখনও শহরে বাংড়া কার্তিকের পুজো হয়। পাশাপাশি জামাই কার্তিক, রাজা কার্তিকও পুজিত হয় পুরনো ঐতিহ্য মেনেই।
বাবুদের যুগ পেরিয়ে এখন বিগ বাজেটের কার্তিক পুজোয় এগিয়ে এসেছে শহরের ক্লাবগুলি। লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে থিম সাজিয়ে তোলা হয়েছে। তেমনই পুরনো মন্দিরগুলিতেও সাবেকি কার্তিক পুজোয় মেতেছেন শহরের বাসিন্দারা।