একাধিক সূত্র থেকে আয় বৃদ্ধি ও সঞ্চয় যোগ। নতুন আয়ের দিশাও পেতে পারেন। খেলাধুলায় উন্নতি। ... বিশদ
আসানসোল ডিভিশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন পানাগড়। হাওড়া-দিল্লি রেললাইন গিয়েছে পানাগড়ের উপর দিয়ে। পানাগড়ের ভিতর দিয়ে গিয়েছ জাতীয় সড়ক। এখানে রয়েছে সেনা ছাউনি। এলাকার বাসিন্দাদের যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম ট্রেন। কিন্তু পানাগড় থেকে সরাসরি দিল্লি যাওয়ার কোনও ট্রেন নেই। ফলে দুর্গাপুর বা বর্ধমান গিয়ে ট্রেন ধরতে হয় যাত্রীদের। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি এখানে ১২৩০৩ ও ১২৩০৪ হাওড়া-নিউ দিল্লি পূর্বা এক্সপ্রেসের স্টপেজ দেওয়া হোক। পানাগড় বাজার চেম্বার অব কর্মাসের পক্ষে রতন আগরওয়াল বলেন, এখানে সেনা ছাউনি রয়েছে। এখানকার গাড়ির বাজার বিখ্যাত। সরাসরি দিল্লি যেতে এলাকার বাসিন্দাদের যাতে কোন অসুবিধা না হয় সেজন্য আমরা লিখিতভাবে আবেদন করেছি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পানাগড় স্টেশনের উপর স্থানীয়রা ছাড়াও পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়ার বাসিন্দারা নির্ভর করেন। অমৃত ভারত প্রকল্পে স্টেশন সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। কিন্তু সরাসরি দিল্লি যাওয়ার কোনও ট্রেন না থাকায় সেনাকর্মী সহ সকলকে অসুবিধায় পড়তে হয়। এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় রায় বলেন, করোনার আগে দিল্লি যাওয়ার জন্য তুফান এক্সপ্রেস ও অমৃতসর যাওয়ার জন্য অমৃতসর এক্সপ্রেস ছিল। করোনার সময় ট্রেন দু’টি বন্ধ হয়ে যায়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও ট্রেন দু’টি আর চালু করা হয়নি। ফলে ব্যবসায়ী থেকে সেনা জওয়ান সকলকে অসুবিধার মুখে পড়তে হচ্ছে। তিনি বলেন, পূর্বা এক্সপ্রেস সকাল ৮টা নাগাদ হাওড়া স্টেশন থেকে ছাড়ে। পরের দিন সকাল ৬টা নাগাদ নিউ দিল্লি পৌঁছে যায়। ট্রেনটি পানাগড়ে স্টপেজ দিলে ব্যবসায়ীরা সকালে নিউ দিল্লি পৌঁছে কাজ সেরে আবার বিকেলে রওনা দিতে পারবেন। কারণ ফেরার সময় নিউ দিল্লি থেকে পূর্বা বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে ছাড়ে। পরেরদিন বিকেলে হাওড়া পোঁছয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অনেক সেনা জওয়ান এই ট্রেনে যাতায়াত করেন। এখানে ট্রেনটি না দাঁড়ানোয় আগে লোকাল ট্রেনে দুর্গাপুর পৌঁছতে হয়। ফেরার সময়ও দুর্গাপুরে নেমে লোকাল ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। রেল সূত্রে জানা যায়, কোন স্টেশনে কোন ট্রেন দাঁড়াবে, তা রেল বোর্ড সমীক্ষা করে ঠিক করে। তবে আবেদনপত্র খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।