নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির পরাজয়ের পিছনে বাইরের কারণগুলি আপনারা জানেন। ঘরের অভ্যন্তরেও অনেক কারণ ছিল। আমরা খোঁজ করে সেই সব বিষয় জেনেছি। পার্টির মধ্যে পরিবর্তন হবে। তারপরই ঝাড়াই-বাছাই হবে। দল যাতে শোধরানো যায় তার চেষ্টা হবে। আসানসোলে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে গিয়ে রীতিমতো বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। লোকসভা ভোটে আসানসোলে হারের কারণ জিজ্ঞাসা করতেই কার্যত সংগঠনের হাঁড়ির হাল জানিয়ে দিলেন রাজ্য বিজেপির এই ডাকাবুকো নেতা। শুধু নিজের লোকসভা কেন্দ্র নয়, আসানসোলে বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার হারের পিছনেও যে দলের একটি অংশ ছুরি মেরেছে তা এদিন প্রকাশ্যে আনেন তিনি। সংগঠনের পরিবর্তনের পরই যে ‘গদ্দার’দের বিদায় হবে, তা এদিন স্পষ্ট করে দেন। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির এই মন্তব্যে জেলা বিজেপির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর রক্তচাপ বাড়তে শুরু করেছে।
২০২৪ সালে আসানসোল লোকসভা আসনে জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার সময় থেকে এই লোকসভা আসনটি বিজেপির দখলে ছিল। এবার কেন উলোটপুরাণ, তা নিয়ে বহু চর্চা হয়েছে। বিজেপির অভ্যন্তরে জেলার নেতারা সংগঠন নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন। অনেকেই এই পরাজয়ের পিছনে জেলার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীকে দায়ী করেছেন। কিন্তু দিলীপ ঘোষের মতো বড় মাপের নেতাও এবার লোকসভা ভোটে পরাজয়ের পিছনে দলের অভ্যন্তরের ভূমিকা নিয়ে প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুলে দিলেন।
এদিন জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়কে পাশে বসিয়ে দিলীপবাবুর এই মন্তব্য নিয়ে শিল্পাঞ্চলের গেরুয়া শিবিরের অন্দরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।