অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সাংসারিক সুখ বাড়বে। জটিল কর্ম সম্পাদনে সাফল্য ও ওপরওয়ালার আস্থালাভ। ... বিশদ
কেষ্ট তিহার থেকে বীরভূমে পা রাখার পর জেলা কোর কমিটির একটি বৈঠকও হয়নি। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, মাসে অন্তত তিনবার কোর কমিটির বৈঠক করতে, সেখানে একটি বৈঠকও হয়নি। এরই মাঝে জেলায় বিভিন্ন ব্লকে দলের বিজয়া সম্মিলনি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জেলা সভাপতি কেষ্টকে বহু ব্লকে দেখা গিয়েছে। কিন্তু কাজল ও কেষ্টকে কোনও মঞ্চেই একসঙ্গে দেখা যায়নি। এর থেকেই দলের দুই শিবিরের মধ্যে চওডা ফাটল আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এরই মাঝে কাজল কোর কমিটির বৈঠক ডাকা নিয়ে বেশ কিছু ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন। দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও কলকাতা থেকে জেলার কোর কমিটির প্রশংসা করেছিলেন। বিজয়া সম্মিলনির শেষ দিন বিধায়ক অভিজিৎ সিনহাও কোর কমিটির বৈঠক করার জোরালো দাবি জানিয়েছিলেন। এরপরই কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী জানিয়ে দেন, ১৬ নভেম্বর কোর কমিটির বৈঠক হবে। এদিনের এই বৈঠক দলের নিচুতলার কর্মীদের জন্যও খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, দলের সাংগঠনিক কাজকর্ম পরিচালনার বিষয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে মাঝেমধ্যেই। জেল থেকে ফিরে কোর কমিটির নেতাদের সঙ্গে একবারও বৈঠক করেননি কেষ্ট। বিজয়া সম্মিলনির তারিখ কীভাবে ঠিক করা হয়েছিল তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছু ব্লক যেমন, নানুর, মুরারই, দুবরাজপুরে দলেরই কয়েকজন নেতাদের মধ্যে প্রকাশ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিচ্ছে। সিউড়ি ১ ব্লকের এক বুথ সভাপতিকে হঠাৎই আলোচনা না করে সরিয়ে দেওয়া নিয়েও বিতর্ক দেখা দিয়েছে। সেইসব বিষয় কোর কমিটির বৈঠকে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই বৈঠকের দিকে নজর প্রত্যেকের। তবে দলীয় সূত্রে খবর, দলের হয়ে কাজ করা ভোট সমীক্ষক সংস্থার দু’জন প্রতিনিধি এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। তাঁরা আলোচনায় অংশগ্রহণ না করলেও বৈঠকের সমস্ত রিপোর্ট নিয়ে রাজ্য হাই কমান্ডের কাছে জমা করবেন বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, বিধায়ক অভিজিৎবাবু, সভাধিপতি কাজল বেশ কিছু প্রশ্ন বৈঠকে রাখবেন বলে খবর মিলেছে। এখন আজকের আলোচনায় কী কী বিষয় উঠে আসে তা জানার জন্য আর কয়েকঘণ্টার অপেক্ষা মাত্র। এই প্রসঙ্গে আহ্বায়ক বিকাশবাবু বলেন, এটি একেবারেই সাধারণ বৈঠক। মারামারিও হবে না, তর্কও হবে না। আগেও কোর কমিটির বৈঠক হয়েছে। এই নিয়ে বিতর্কের কী আছে! কাজল বলেন, কোর কমিটির সদস্য হিসেবে উপস্থিত থাকব। কিছু বিষয় নিয়ে বলার যদি সুযোগ থাকে তো বলব। এটা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। যদিও বিরোধী বিজেপি শিবিরের দাবি, সাধারণ মানুষের মূল ইস্যুগুলো থেকে নজর ঘোরাতে এইসব সাধারণ বৈঠক নিয়ে প্রচার করা হচ্ছে।