অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সাংসারিক সুখ বাড়বে। জটিল কর্ম সম্পাদনে সাফল্য ও ওপরওয়ালার আস্থালাভ। ... বিশদ
২০২৪ সালে আসানসোল লোকসভা আসনে জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার সময় থেকে এই লোকসভা আসনটি বিজেপির দখলে ছিল। এবার কেন উলোটপুরাণ, তা নিয়ে বহু চর্চা হয়েছে। বিজেপির অভ্যন্তরে জেলার নেতারা সংগঠন নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন। অনেকেই এই পরাজয়ের পিছনে জেলার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীকে দায়ী করেছেন। কিন্তু দিলীপ ঘোষের মতো বড় মাপের নেতাও এবার লোকসভা ভোটে পরাজয়ের পিছনে দলের অভ্যন্তরের ভূমিকা নিয়ে প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুলে দিলেন।
এদিন জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়কে পাশে বসিয়ে দিলীপবাবুর এই মন্তব্য নিয়ে শিল্পাঞ্চলের গেরুয়া শিবিরের অন্দরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আদি বিজেপির একাংশের দাবি, নব্য বিজেপির সঙ্গে কিছু সংঘ করা লোক মিলে জেলার সংগঠনের ক্ষতি করেছে। কয়েকজন নেতা মিলে পুরো জেলা চালাতে গিয়ে সংগঠনকে দুর্বল করে দিয়েছে। দিলীপদা আসানসোলের রোগ ধরে নিয়েছেন।
সংগঠন একাংশের ভূমিকা নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি রাজ্য সরকার ও আসানসোল পুরসভা নিয়েও তোপ দাগেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, আসানসোল পুরসভায় যে জল সংকট দেখানো হচ্ছে, তা ভুয়ো। দামোদর নদের পাশে থাকা আসানসোলে জল কষ্ট হওয়ার কথা নয়। আসলে মানুষকে ট্যাঙ্কারে করে জল কিনতে বাধ্য করিয়ে তা থেকে টাকা তোলার চেষ্টা হচ্ছে।
ট্যাব-অনিয়ম নিয়েও তিনি সরব হন। তিনি বলেন, উটের যেমন কুঁজ থাকে তৃণমূলের তেমন দুর্নীতি। কুঁজ ছাড়া উট বাঁচতে পারে না, তেমনই দুর্নীতি ছাড়া তৃণমূল থাকবে না। আসানসোলের পাশাপাশি বার্নপুর, কুলটি, জামুড়িয়া সহ আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের নানা জায়গায় সদস্য সংগ্রহ অভিযানে যান দিলীপ ঘোষ। আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, দিলীপ ঘোষ কিছু না জেনেই আসানসোলের জল সংকট নিয়ে মন্তব্য করেছেন। আসানসোলবাসীর জন্য কিছু করার চেষ্টা থাকলে বিজেপি ডিভিসিকে জল ছাড়ার আর্জি করত। আসানসোলে এই সংকট ডিভিসির জন্যই।