অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সাংসারিক সুখ বাড়বে। জটিল কর্ম সম্পাদনে সাফল্য ও ওপরওয়ালার আস্থালাভ। ... বিশদ
মেদিনীপুর সদর ব্লকের ধেড়ুয়া, চাঁদড়া, মণিদহ, কঙ্কাবতী পঞ্চায়েত মেদিনীপুর বিধানসভার আওতায় পড়ে। গত লোকসভা ভোটে এই চারটি পঞ্চায়েত এলাকায় খুব সামান্য ভোটে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। তবে এই চারটি পঞ্চায়েতে ১৫টি রাস্তা সংস্কার হয়েছে। যার মধ্যে তিনটি বড় রাস্তা। রাস্তা সংস্কার হওয়ায় বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ খুশি হয়েছেন। যা উপনির্বাচনে সুজয় হাজরাকে অনেকটাই এগিয়ে রাখবে বলে তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছে।
২০১৭ সাল থেকে এই চারটি পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপির প্রভাব বাড়তে শুরু করে। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে এই প্রভাব দেখা গিয়েছিল। সেবার ধেড়ুয়া, চাঁদড়া পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপি ভালো ফল করে। এরপর ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটেও এই এলাকা থেকে গেরুয়া শিবির ভালো ফল করেছিল। তবে গত পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি আর জয়ের মুখ দেখতে পারেনি। সেই ভোটে এই এলাকা থেকে খুব কম মার্জিনে পিছিয়ে পড়ে বিজেপি।
এই চারটি পঞ্চায়েত এলাকায় ৬৩টি বুথ রয়েছে। বেশিরভাগ বুথেই তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করছে, এবারের উপনির্বাচনে লিড বাড়বে। বিজেপি ফের এখানে হারিয়ে যাওয়া মাটি পুনরুদ্ধার করতে চাইছে। এক বিজেপি নেতার কথায়, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের সময় সংগঠনের মধ্যে একতা ছিল। যা এখন অনেকটাই তলানিতে নেমে এসেছে। তৃণমূলে গোষ্ঠীকোন্দল থাকলেও ভোট এলেই নেতারা একজোট হয়ে যায়। তবে আমাদের প্রার্থীও এবার বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রচার করেছেন।জেলা বিজেপির মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন, তৃণমূলের পাশে আর সাধারণ মানুষ নেই। কারণ চারপাশে শুধুই দুর্নীতি। বহু এলাকায় এখনও রাস্তা, পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। তাই এই এলাকা থেকে আমাদের প্রার্থী শুভজিৎ রায়ের বিপুল ভোটে জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। তৃণমূল প্রার্থী সুজয় হাজরা বলেন, প্রচারের সময় ওই এলাকার মানুষ দু’হাত ভরে আমাকে আশীর্বাদ করেছেন। আশা করছি, প্রায় ১০হাজার ভোটে এগিয়ে থাকব। বিজেপিকে মানুষ আর পছন্দ করছেন না।