প্রায় সম্পূর্ণ কাজে শেষ মুহূর্তে বাধা পড়ায় বিচলিত হয়ে পড়তে পারেন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষার বিষয়ে ... বিশদ
এই বীজ উদ্যানপালন দপ্তরের বলে জানা গিয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা উদ্যানপালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গঙ্গারামপুর ব্লক এলাকায় ২১ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন সব্জি চাষ হয়ে থাকে। পঞ্চায়েত সমিতির মাধ্যমে দপ্তর ব্লকের বাগিচা চাষিদের শীতকালীন সব্জির মিনিকেট বীজ বিতরণ করে। এমন দৃশ্য সামনে আসায় জনপ্রতিনিধি ও সরকারি আধিকারিকদের কাজ করার স্বদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গঙ্গারামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি রঞ্জন প্রামাণিক বলেন, এই বোর্ডের আমলের বীজ নয়, তবে যে সময়কারই হোক না কেন রাজ্য সরকার কৃষকদের দিয়েছে তা সরবরাহ করার জন্য। হয়ত যে আধিকারিক দায়িত্বে ছিলেন তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করেননি। এজন্য এমন কাজ হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের হাতে কিছু এলে তা সরবরাহ করা হয়। ব্লক চত্বরে সরকারি বীজ পড়ে থাকা কাঙ্খিত নয়। আমি খোঁজ নিচ্ছি, যদি কৃষকদের কাজে লাগে দ্রুত সরবরাহ করা হবে। বিজেপির দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, কৃষিভিত্তিক জেলা। এখানে শিল্প নেই। কৃষি অর্থনীতির উপরই দাঁড়িয়ে জেলা। যেখানে রাজ্য জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বিনামূল্যে কৃষকদের জন্য বীজ পাঠিয়েছে, সেখানে তা সরবরাহ না করে ফেলে নষ্ট করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন তদন্ত করে আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিক। সরকারি সাহায্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষকেরা। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য অচিন্ত্য চক্রবর্তী বলেন, গরিব কৃষকরা সরকারি সাহায্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সঠিক সময় বীজ দেওয়া হয়নি জন্যই পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। জেলা প্রশাসন তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। গঙ্গরামপুরের বিডিও অর্পিতা ঘোষাল বলেন, ওগুলি আমার আমলের নয়। কবেকার ও কবে থেকে পড়ে রয়েছে তাও জানা নেই।
(এভাবেই নষ্ট হচ্ছে সব্জির বীজ।-নিজস্ব চিত্র)