প্রায় সম্পূর্ণ কাজে শেষ মুহূর্তে বাধা পড়ায় বিচলিত হয়ে পড়তে পারেন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষার বিষয়ে ... বিশদ
শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিক কমিশনার (পূর্ব) রাকেশ সিং বলেন, ধৃত বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনার সমস্ত দিক গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম মহম্মদ হাবিব, মহম্মদ সামসের আলি ও আতিরুল মহম্মদ। বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলায় ধৃতদের বাড়ি। ধৃতদের কাছ থেকে কাটারি, কাঁটাতারের বেড়া কাটার দু’টি সরঞ্জাম, বাংলাদেশি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এনজেপি থানার এক অফিসার জানান, রাজীবনগরে এক টোটোচালকের বাড়িতে অচেনা কিছু লোক জড়ো হয়েছে। সূত্র মারফত খবর পেয়ে রাতে ওই বাড়িতে হানা দেওয়া হয়। সেই সময় বাংলাদেশিরা বাড়ি থেকে বের হচ্ছিল। পুলিসকে দেখেই টোটোচালক সহ তারা পালানোর চেষ্টা করে। ধাওয়া করে তিন সশস্ত্র বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি চার বাংলাদেশি ও তাদের এজেন্ট টোটোচালক চম্পট দিয়েছে।
ধৃতদের কাছ থেকে পুলিস চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য পেয়েছে। বুধবার ফাঁসিদেওয়া দিয়ে এপারে আসে ধৃতরা। অসমগামী ট্রেন ধরার উদ্দেশ্যে এনজেপি স্টেশনে যাচ্ছিল বলে জেরায় জানিয়েছে তারা। এনিয়ে গোয়েন্দা ও পুলিসের একাংশের বক্তব্য, অসমের কোকরাঝারে স্লিপার সেলের হদিশ মিলেছে বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন এবিটি’র। পাশাপাশি সেই রাজ্যে গোরু ও মোষ পাচারচক্রের সিন্ডিকেটের ঘাঁটি রয়েছে। তাই ধৃতদের যোগাযোগ এবিটি জঙ্গি সংগঠন কিংবা গোরু পাচার সিন্ডিকেটের সঙ্গে রয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
শুক্রবার ধৃতদের জলপাইগুড়ি সিজেএম কোর্টে তোলা হয়। তাদের পাঁচদিনের জন্য পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এনজেপি থানার এক অফিসার অবশ্য বলেন, সশস্ত্র ওই বাংলাদেশিদের এপারে আসার প্রকৃত উদ্দেশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। ধৃতরা কোনও সংগঠনের সঙ্গে জড়িত কি না তাও জানা যায়নি। বাংলাদেশিদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে টোটোচালকের বিরুদ্ধেও মামলা রুজু করা হয়েছে।