প্রায় সম্পূর্ণ কাজে শেষ মুহূর্তে বাধা পড়ায় বিচলিত হয়ে পড়তে পারেন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষার বিষয়ে ... বিশদ
লোকাচারে বাগদেবীর পুজোয় যেমন কুল, মাটির দোয়াত, খাগের কলম অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, পলাশ ফুলও ততটাই অত্যাবশ্যকীয়। তাই তো দেবীকে পলাশপ্রিয়াও বলা হয়। অনেকেই বলছেন, শীতের আমেজ কেটে বসন্ত পড়ার আগেই এবছর সরস্বতী পুজো। তাই কুঁড়ি থেকে পলাশ ফুল সেভাবে ফোটেনি। উত্তরবঙ্গের ফুলবাজারগুলিতে তাই ফুলের বদলে দেদার বিক্রি হচ্ছে পলাশের কুঁড়ি।
উদ্যানপালন দপ্তরের উত্তর দিনাজপুর জেলার আধিকারিক সন্দীপ মহন্ত বলেন, শীতের শুরু থেকেই আবহাওয়া এবার বেশ কিছুটা খামখেয়ালি। যা পলাশ ফুলের জন্য অনুকূল নয়। তাই কুঁড়ি এসেছে দেরিতে। সাধারণত প্রতিবার সরস্বতী পুজোর সময় শীতের আমেজ কেটে আবহাওয়া কিছুটা গরম হয়। কিন্তু এবার আবহাওয়ায় সেই লক্ষণ নেই। যার জন্য গাছে গাছে কুঁড়ি ছেয়ে গেলেও, প্রস্ফুটিত পলাশ ফুলের দেখা নেই। ফুল ফুটতে এখনও বেশ কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে।
শুক্রবার রায়গঞ্জ মোহনবাটি বাজারে পলাশের কুঁড়ি যুক্ত ছোট ছোট শাখা বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলেন, পলাশের কুঁড়ি যুক্ত একটি ছোট্ট ডালের দাম ২০ টাকা। পাইকারি ব্যবসায়ী গণেশ সাহা বলেন, আমরা প্রতি কেজি পলাশের কুঁড়ি বিক্রি করছি ৩০০ টাকায়। খুচরো ফুল ব্যবসায়ী সজল বসাক, দীপালি সরকাররা বলেন, এবার গাছে শুধু কুঁড়ি। এখনও পলাশ ফুল ফোটেনি। অগত্যা আমরা পলাশের কুঁড়ি বিক্রি করছি। অনেক খদ্দের জানতে চাইছে পলাশ ফুল নেই কেন? তাঁদের আমরা বলছি, এবার আবহাওয়ার কারণেই এই বিপত্তি। বাধ্য হয়েই শুধু কুঁড়ি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন অনেকে।
শিলিগুড়ির বাজারেও একই চিত্র। ফুলের পরিবর্তে পলাশের কুঁড়িই বিকোচ্ছে চড়া দামে। শিলিগুড়ির শিবমন্দিরের উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল, মাটিগাড়ার উত্তরায়ণ, শহরের দেশবন্ধুপাড়ায় তরাই তারাপদ হাইস্কুলে প্রচুর পলাশ ফুলের গাছ রয়েছে। কিন্তু সর্বত্রই একই অবস্থা। গাছে গাছে কুঁড়ির দেখা মিললেও ফুল নেই। শিলিগুড়ির সুভাষপল্লির এক বধূ শ্রেয়া কর্মকার বলেন, এবার পলাশ ফুল পাইনি। কিন্তু একটা উপায় তো করতেই হবে। তাই কুঁড়িই কিনলাম। এদিকে, জলপাইগুড়ি শহর ও সংলগ্ন এলাকাতেও প্রচুর পলাশ ফুলের গাছ থাকলেও এখনও কুঁড়ি থেকে ফুলের দেখা নেই। কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলাতেও একই চিত্র।