প্রায় সম্পূর্ণ কাজে শেষ মুহূর্তে বাধা পড়ায় বিচলিত হয়ে পড়তে পারেন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষার বিষয়ে ... বিশদ
প্রসূতি সান্ত্বনা রায়ের মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতি নিয়ে আগেই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার। এবার ওই প্রসূতির সন্তানের জন্য জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের ইস্যু করা নথিতে ধরা পড়ল বড়সড় ভুল।
কচুয়া বোয়ালমারির বাসিন্দা সান্ত্বনাকে ২৯ ডিসেম্বর জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবে ভর্তি করা হয়েছিল। সিজারে পরদিন অর্থাৎ ৩০ ডিসেম্বর সকালে পুত্রসন্তান প্রসব করেন তিনি। কিন্তু জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের নথিতে দেখা যাচ্ছে, ওই সদ্যোজাতকে হাসপাতাল থেকে ‘ডিসচার্জ’ দিয়ে দেওয়া হয়েছে ৩ ডিসেম্বর! অর্থাৎ বাস্তবে শিশুটি যখন মাতৃগর্ভে রয়েছে, হাসপাতালের নথি অনুযায়ী তখনই তার ‘জন্ম’ হয়ে গিয়েছে। এমনকী তাকে ‘ছুটি’ও দিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, জন্মানোর সময় শিশুটির ওজন কত ছিল, হাসপাতালের নথিতে সেটাও উল্লেখ করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় জলপাইগুড়ি মেডিক্যালে।
চিকিৎসায় গাফিলতিতে প্রসূতি সান্ত্বনা রায়ের মৃত্যু হয়েছে, এমনটা দাবি করে এদিনই মেডিক্যালের সুপারের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। তাঁর স্বামী উত্তম মাতব্বর বলেন, প্রথমে স্ত্রীর চিকিৎসা, তারপর ওর মৃত্যু নিয়ে পরিবারের উপর দিয়ে ঝড় বয়ে গিয়েছে। ফলে সন্তানের জন্য জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল থেকে যে নথি ইস্যু করা হয়েছিল তার তারিখ এতদিন খেয়াল করিনি। এদিন নথি নিয়ে ছেলের জন্ম শংসাপত্রের জন্য মেডিক্যালে আসি। তখনই হাসপাতালের কর্মীরা দেখে জানিয়ে দেন, নথির তারিখ মিলছে না। ফলে ওই নথিতে সন্তানের জন্ম শংসাপত্র পাওয়া যাবে না।
কীভাবে এত বড় ভুল হতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। কাঠগড়ায় জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে জানতে এদিন প্রসূতির পরিবার মেডিক্যালের সুপারের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করে। কিন্তু সুপার ডাঃ কল্যাণ খাঁ তাঁর অফিসে ছিলেন না। পরে ফোনে যোগাযোগ করা হলে কল্যাণবাবু বলেন, ডিসচার্জের কাগজে তারিখ লিখতে সম্ভবত ভুল হয়েছে। পরিবারটি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সংশোধন করে দেওয়া হবে।
কিন্তু নথিতে সদ্যোজাতর ওজন উল্লেখ করা হল না কেন? সুপারের দাবি, সেসব হাসপাতালের রেকর্ডে থাকে। সেখান থেকে দেখে পরে লিখে দেওয়া হয়। যদিও সুপারের ওই বক্তব্য মানতে নারাজ মৃত প্রসূতির পরিবার। তাদের বক্তব্য, চিকিৎসায় গাফিলতি নিয়ে আমাদের অভিযোগের ভিত্তিতে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ তদন্ত কমিটি গড়েছে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু এখনও আমরা তদন্ত রিপোর্ট জানতে পারিনি। তারই মধ্যে নয়া বিড়ম্বনা। - নিজস্ব চিত্র