প্রায় সম্পূর্ণ কাজে শেষ মুহূর্তে বাধা পড়ায় বিচলিত হয়ে পড়তে পারেন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষার বিষয়ে ... বিশদ
বালুরঘাটের বিএলআরও রণেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, বালি চুরি রুখতে রোজই অভিযান চলছে। প্রায়দিনই বালি বোঝাই ট্রাক্টর আটক করা হচ্ছে।
এদিনের ঘটনার খবর পেয়েছি। আমাদের তরফে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বালুরঘাট সদর ডিএসপি (হেড কোয়ার্টার) বিক্রম প্রসাদ বলেন, বালি চুরি রুখতে পুলিসের তরফে নানা জায়গায় নজরদারি চলছে। খিদিরপুরের বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
খিদিরপুরের হালদারপাড়ার এক প্রতিবাদী যুবক মিঠুন হালদার বলেন, আমাদের এলাকার ভিতর দিয়ে ট্রাক্টরে করে নদী থেকে বালি চুরি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ট্রাক্টর যেতে যেতে বাঁধের একাংশ ভেঙে গিয়েছে। এমনকী একেবারে বাঁধের ধারেই নদীর মধ্যে থেকে বালি নিতে নিতে বাঁধের ক্ষতি হচ্ছে। বর্ষার সময় বাঁধ ভেঙে এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এর আগেও যারা বালি তোলে, তাদের নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু কর্ণপাত করেনি। তাই এদিন আমরা বালি বোঝাই ট্রাক্টর আটকে দিয়েছিলাম। পরে তারা পালিয়ে গিয়েছে। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ বালি পাচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
প্রসঙ্গত, বালুরঘাটের আত্রেয়ী নদী থেকে অবাধে বালি পাচার চলছে। একেবারে কুমারগঞ্জ থেকে বালুরঘাট, নানা জায়গায় নদীর মাঝে ট্রাক্টর নামিয়ে অবাধে বালি পাচার চলে। ভূমি দপ্তরের তরফে প্রতিদিনই নানা জায়গায় অভিযান চালানো হয়। কিন্তু বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে ট্রাক্টর আটক করতে গিয়ে নাজেহাল হচ্ছেন আধিকারিকরা। কখনও কখনও বালি মাফিয়াদের হাতেই হুমকির শিকার হচ্ছেন আধিকারিকরা। যদিও বা ভূমি দপ্তরের তরফে প্রায় দিনই বালি বোঝাই ট্রাক্টর আটক করা হচ্ছে। কিন্তু শুক্রবার খিদিরপুর হালদারপাড়া ওই ট্রাক্টর আটক করার পর বালির পাচারকারীদের সঙ্গে বচসা হয়। যদিও বিক্ষোভের মুখে পড়ে বালি ফেলেই পালিয়ে যায় পাচারকারীরা।