পারিবারিক ক্ষেত্রে বহু প্রচেষ্টার পর শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম উন্নতিতে আনন্দ লাভ। অর্থকর্মে শুভ। ... বিশদ
ঘটনার সূত্রপাত গত বুধবার। অভিযোগ, তোর্সার বাঁধের ধারে একটি ফাস্টফুডের দোকানের সামনে গাড়ি ধুচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। তিনি পুলিসের গাড়ির চালক। দোকান খোলা নিয়ে সেই সময় বচসা হয়। এরপর শুক্রবার রাতে ওই প্রৌঢ়ার ছেলে তথা ওই দোকানের মালিকের বাড়িতে পুলিস আসে। অভিযোগ, তাঁদের ঘরে, বাড়ির টিনের বেড়া ভাঙচুর করা হয়। পরিবারের সদস্যরা বেরিয়ে এলে তাঁদেরকে মারধর করা হয়। সেসময় ওই প্রৌঢ়াকেও মারা হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে বাড়ি থেকে বেশ কয়েকজনকে পুলিস তুলে নিয়ে যায়। এরপরেই সকালে হরিণচওড়ায় পথ অবরোধ করে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
কোচবিহারের ডিএসপি (হেড কোয়ার্টার) চন্দন দাস, কোচবিহার কোতোয়ালি থানা আইসি তপন পাল সহ অন্যান্য পুলিস আধিকারিক ঘটনাস্থলে পৌঁছন। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলে ঘটনার তদন্তের আশ্বাস সহ দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে।
মৃতার পুত্রবধূ লায়লা খাতুন বলেন, রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ পুলিস বেশ কয়েকটি গাড়ি নিয়ে আসে। টিন ভাঙচুর করা হচ্ছিল। আমার স্বামী কিছু বলার আগেই তাঁকে মারধর করা হয়। আমি গর্ভবতী। আমাকেও ধাক্কা দেয়। আমার শাশুড়িকে মারধর করা হয়। তিনি মারা গিয়েছেন। ওই বাড়ির গৃহবধূ আফরোজা বেগম বলেন, আমার স্বামী বুধবার দোকান খুলতে গিয়ে দেখেন পুলিসের এক চালক দোকানের সামনে গাড়ি ধুচ্ছেন। তাঁকে সরতে বললে বচসা হয়। শুক্রবার গভীর রাতে বাড়িতে লাঠি হাতে আমাদের মারধর করা হয়।
ডিএসপি চন্দন দাস বলেন, সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অবরোধ উঠে গিয়েছে। দু’পক্ষের সমস্ত অভিযোগই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বচসার একটা খবর এসেছে। কোনও লিখিত অভিযোগ এখনও হয়নি। তদন্তের স্বার্থে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যেটা প্রকৃত ঘটনা পুলিস তার তদন্ত করবে। যে অন্যায় করেছে তার উপযুক্ত শাস্তি হবে। সে পুলিস হোক বা যেই হোক।
(পুলিসকে ঘিরে বিক্ষোভ। - নিজস্ব চিত্র।)