আজ কর্ম ভাগ্য অনুকূল। অর্থাগমের ক্ষেত্র বাড়বে। গবেষকদের পক্ষে উল্লেখযোগ্য সাফল্য ও স্বীকৃতি লাভের সম্ভাবনা। ... বিশদ
এদিকে, পুরচেয়ারম্যানকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় পাল্টা কোন পদক্ষেপই নেয়নি কোচবিহার জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। ফলে নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। দলেরই একাংশের দাবি, এই অনাস্থার পিছনে কি বিধায়ক পরেশচন্দ্র অধিকারি সহ জেলা তৃণমূলেরও মদত রয়েছে! যদিও মদত দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে জেলা নেতৃত্ব। দলের জেলা চেয়ারম্যান গিরিন্দ্রনাথ বর্মন জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
নয়টি ওয়ার্ড বিশিষ্ট মেখলিগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গত আগস্টে অনাস্থা আনার চেষ্টা করেন কয়েকজন কাউন্সিলার। সেই সময়ে দলীয় নির্দেশে অনাস্থা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। সম্প্রতি ফের চেয়ারম্যানকে সরাতে তৎপর হয়ে ওঠে সেই কাউন্সিলাররাই। এনিয়ে চেয়ারম্যানকে চিঠিও দেওয়া হয়। চেয়ারম্যান সাড়া না দেওয়ায় ভাইস চেয়ারম্যান আস্থাভোট তলব করেন। সেই আস্থাভোট সম্পন্ন হয়েছে পুরসভার মিটিং হলে। যদিও সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন না চেয়ারম্যান কেশবচন্দ্র দাস। ভাইস চেয়ারম্যান দেবাশিস বর্ধনচৌধুরী জানিয়েছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থনে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হয়েছে। প্রশাসনিক মহলে সেটা জানানো হবে। পরবর্তীতে আলোচনা করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এব্যাপারে চেয়ারম্যান বলেন, আগস্টে আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে এসেছিল কয়েকজন কাউন্সিলার। নিয়ম অনুযায়ী ছয়মাসের আগে নতুন করে অনাস্থা নিয়ে আসা যায় না। আমি নিয়মিত অফিস করছি। সেখানে আমার মনোনীত ভাইস চেয়ারম্যান কী করে আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ করায়? ওরা আমার বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজের অভিযোগ জানাতে পারেনি। শুধু ব্যক্তিগত ইগো ও স্বার্থ চরিতার্থ করতেই এসব করা হচ্ছে। মেখলিগঞ্জের সাধারন মানুষের স্বার্থে আমি আইনিভাবে এর মোকাবিলা করবো। মেখলিগঞ্জের বিধায়ক পরেশচন্দ্র অধিকারি বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নিয়ে আসা অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হয়েছে। কাউন্সিলারদের সঙ্গে আমার কথা হয়নি। কি পদক্ষেপ নেবে ওরা তা নিয়েও কোনো কথা হয়নি। শুনেছি চেয়ারম্যান আইনি নোটিশ ধরিয়েছেন। কোচবিহার জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান বলেন, অনাস্থা নিয়ে আসার বিষয়ে আমাদের মতামত নেওয়া হয়নি। জেলা নেতৃত্বকে জানানোও হয়নি। সবটাই রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। আমরাও বিষয়টির উপর নজর রাখছি।