আজ কর্ম ভাগ্য অনুকূল। অর্থাগমের ক্ষেত্র বাড়বে। গবেষকদের পক্ষে উল্লেখযোগ্য সাফল্য ও স্বীকৃতি লাভের সম্ভাবনা। ... বিশদ
দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক প্রীতি গোয়েল বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুসারে ভোটার তালিকা সংশোধন করা হয়েছে। ভোটার তালিকায় নাম তোলার আবেদন যেমন গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হয়েছে, বিশেষ অভিযান চালিয়ে মৃত ভোটারদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের সর্বস্তরের অফিসার, কর্মী ও জেলাবাসীর সহযোগিতায় এটা সম্ভব হয়েছে।
অতীতে বিভিন্ন নির্বাচনের পর ভোটার তালিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। অভিযোগ, ভুয়ো ভেটারের মাধ্যমে নির্বাচনে জাল ভোট দেওয়া হতো। এজন্য ভোটার তালিকা ত্রুটিমুক্ত করার দাবি বহুদিনের। সেইমতো গত অক্টোবর মাসে ভোটার তালিকা সংশোধন অভিযানে নামে দার্জিলিং জেলা প্রশাসন। সম্প্রতি তারা চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে। প্রশাসনের একাংশ জানিয়েছে, এবার খসড়া ভোটার তালিকা নিয়ে বুথে বসার পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি অভিযান চালানো হয়েছিল। তাতেই তালিকা থেকে প্রচুর নাম বাদ পড়েছে। যার অধিকাংশ মৃত। সামান্য কিছু অন্যত্র চলে গিয়েছে। আর কিছু ভোটারের অস্তিত্বই পাওয়া যায়নি।
প্রশাসনের এক কর্তা অবশ্য বলেন, ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া, স্থানান্তর করা এবং নতুন নাম তোলা এটা রুটিন বিষয়। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে এটা প্রতিবছরই করা হয়। এবার বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ করা হয়েছে। কারণ ভবিষ্যতে ভোটার তালিকা নিয়ে যাতে কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে। পাশাপাশি আগামী নির্বাচনগুলিতেও স্বচ্ছতা আরও বাড়বে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, খসড়া ভোটার তালিকায় ভোটার সংখ্যা ছিল ১২ লক্ষ ৮৯ হাজার ৫৩৭ জন। কয়েকদিন আগে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। তাতে ভোটার সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১২ লক্ষ ৮১ হাজার ৩২৯ জন। জেলার পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে চারটিতেই ভোটার সংখ্যা কমেছে। অর্থাৎ তালিকা থেকে কাটা হয়েছে মৃত বা ভুয়ো ভোটারের নাম। সেই সংখ্যা ৮ হাজারের কিছু বেশি। এমন ভোটারের সংখ্যা দার্জিলিং বিধানসভা কেন্দ্রে সর্বাধিক, ৩৭২৩ জন। এরবাইরে ফাঁসিদেওয়ায় ২৭০৭, শিলিগুড়িতে ১৯৬১ এবং কার্শিয়াংয়ে ৮৮ জনের নাম তালিকা থেকে কাটা হয়েছে। তবে মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে ২৭১ জন ভোটার বেড়েছে।