সংবাদদাতা, কালিয়াগঞ্জ: স্কুলের বেহাল ক্লাসরুম ভেঙে ফেলা হয়েছে অনেকদিন আগে। কিন্তু এখনও নতুন ঘর তৈরি হয়নি। শীতের কনকনে ঠান্ডায় সকালে উঠেই প্রাইমারির পড়ুয়াদের পড়তে যেতে হচ্ছে পাশের মাদ্রাসায়। মিড ডে মিল খেতে যেতে হচ্ছে সেখান থেকে অন্য জায়গায়। হেমতাবাদ ব্লকের দক্ষিণ মালন অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসরুম মেরামত না হওয়ায় সমস্যায় পড়েছে খুদেরা। এই ঠান্ডায় সকালে স্কুলে আসতে চাইছে না। ছাত্রদের উপস্থিতি কমে যাওয়ায় চিন্তায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাধাই রায় জানান, এলাকার একটি মাদ্রাসায় আপাতত সকালে প্রাথমিকের ক্লাস হচ্ছে। শীতের সকালে ক্লাসে আসতে চাইছে না পড়ুয়ারা। রাস্তা পেরিয়ে কিছুটা দূরে পুরাতন স্কুলে মিড ডে মিলের খাবার খেতে যেতে হচ্ছে তাদের। স্কুলঘর তৈরির দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা। হেমতাবাদের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক জয়ী দেবনাথ বলেন, ইতিমধ্যে বেহাল ঘর ভেঙে ফেলা হয়েছে। দুটি নতুন ক্লাসরুম তৈরি হবে। দ্রুত কাজ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে।
দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় দক্ষিণ মালন অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসঘর বেহাল হয়ে পড়ে। ভাঙা ছাদ চুইয়ে ক্লাসরুমের মেঝেয় জল পড়ছিল। ঘরটি যে কোনও সময় ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছিলেন অভিভাবকরা। তাঁদের বিক্ষোভে আর ঝুঁকি নিতে চায়নি প্রশাসন। বিদ্যালয়টিকে স্থানান্তরিত করা হয় কিছুটা দূরে একটি মাদ্রাসায়। কিন্তু তাতেও সমস্যা মেটেনি। শীতের সকালে উঠে স্কুলে আসতে চাইছে না পড়ুয়ারা। পঞ্চমের পড়ুয়া আসিফ আলি বলে, ঠান্ডার মধ্যে সকালে স্কুলে আসতে ইচ্ছা করে না। আমাদের স্কুলঘর তৈরি হয়ে গেলে ভালো হয়। এখনও নতুন করে স্কুল ভবনটি কেন তৈরি হল না, প্রশ্ন প্রমথ শীল নামে এক অভিভাবকের। দ্রুত ভবন তৈরির দাবি জানিয়েছেন তিনি।
শীতের সকালে অন্য বিদ্যালয়ে ক্লাস চলছে পড়ুয়াদের। - নিজস্ব চিত্র