আজ কর্ম ভাগ্য অনুকূল। অর্থাগমের ক্ষেত্র বাড়বে। গবেষকদের পক্ষে উল্লেখযোগ্য সাফল্য ও স্বীকৃতি লাভের সম্ভাবনা। ... বিশদ
বিএসএফের উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের এক অফিসার জানান, গ্রামবাসীরা নিজেরাই নিজেদের জমিতে অস্থায়ীভাবে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছেন। এর সঙ্গে বিএসএফের কোনও সম্পর্ক নেই। তা হলেও গ্রামের পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে।
উত্তরবঙ্গের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী স্পর্শকাতর গ্রামগুলির মধ্যে দহগ্রাম আঙ্গারপোঁতা অন্যতম। এটি মেখলিগঞ্জ ব্লকের কুচলিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে। সংশ্লিষ্ট গ্রামের ওপারে বাংলাদেশের লালমণিরহাট উপজেলার পাটগ্রাম। দুই দেশের এই সীমান্ত উন্মুক্ত। এখানে বাংলাদেশি গোরু পাচারকারী ও ফসল লুটেরাদের দৌরাত্ম্য দীর্ঘদিনের। বিএসএফ বহু চেষ্টা করেও উন্মুক্ত সেই এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দিতে পারেনি। এ ব্যাপারে বিএসএফ যখনই উদ্যোগী হয়, তখনই বিজিবি আপত্তি তোলে বলে অভিযোগ। এই প্রেক্ষাপটে শুক্রবার দহগ্রাম আঙ্গাপোঁতার বাসিন্দারাই জমিতে ঘেরা দিতে শুরু করেন। এনিয়ে বিজিবি আপত্তি তোলে। অভিযোগ, বিজিবির সশস্ত্র জওয়ানরা ভারতীয় ভূখণ্ডের কাছে এসে বেড়া দেওয়ার কাজে বাধা দেন। সেই সময় বাংলাদেশ থেকে ভেসে আসে হুমকি।
গ্রামবাসীদের বক্তব্য, শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা সব মরশুমেই বাংলাদেশি গোরু পাচারকারীদের দাপটে জমির ফসল নষ্ট হয়। উন্মুক্ত সীমান্ত হওয়ায় বাংলাদেশের গবাদিপশু জমিতে ঢুকে ফসল নষ্ট করে। তাছাড়া বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা জমির ধান সহ ফসল কেটে নিয়ে যায়। তাই ফসল রক্ষা করতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সীমান্তে জিরো লাইন থেকেই ভারতীয় কৃষকদের চাষের জমি। এখন সেখানে কিছু জমিতে শীতের সব্জি ও আলু চাষ হয়েছে। কিছু জমি পতিত। এদিন সেখানে বেড়া দেওয়ার সময় উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনার খবর পেয়ে গ্রাম যায় পুলিস। একই ধরনের ঘটনা অন্দরান খড়খড়িয়া গ্রামেও ঘটে। গ্রামবাসীরা বলেন, বহুবার পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য নিয়ে বিএসএফের মাধ্যমে বিজিবি’কে জানানো হয়েছে। তারা পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য রুখতে পারেনি। তাঁদের অভিযোগ, পাচারকারীদের মদত দিচ্ছে বিজিবি। তাই বেড়া দেওয়া নিয়ে বার বার আপত্তি করছিল ওরা। এবার তাতে পাত্তা দেয়নি গ্রামবাসীরা। দেশ রক্ষায় বিএসএফের সঙ্গে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। রাতে গ্রামে পাহারাও দেওয়া হবে।
মেখলিগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পম্পা বর্মন রায় বলেন, নিজেদের জমির ফসল রক্ষা করতেই কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। কুচলিবাড়ি থানার ওসি ভাস্কর রায় বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। গ্রামের পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।