নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: উন্নয়ন ও পর্যটনকে অক্ষত রেখে বনাঞ্চল সংলগ্ন ইকোসেন্সেটিভ জোনের জটিলতা কাটাতে উদ্যোগী শিলিগুড়ি পুরসভা এবং দার্জিলিং জেলা প্রশাসন। রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা যেমন, টি ট্যুরিজম থেকে শুরু করে একাধিক ক্ষেত্রে ইকোসেন্সেটিভ জোন বড় সমস্যা তৈরি করছে। সেই ক্ষেত্রে সমস্যা কীভাবে মেটানো যায়, সেই ব্যাপারে শনিবার শিলিগুড়ি পুরসভায় জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন চা শিল্পের সঙ্গে জড়িত সংগঠনদের নিয়ে বৈঠক হয়। যদিও এদিনের বৈঠকে সম্পূর্ণ জটিলতা কাটার মতো কোনও রফাসূত্র উঠে আসেনি। সেজন্য চলতি মাসের ১০ জানুয়ারি চা শিল্প, চা সংগঠন, পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে পুর কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব, ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার, জেলাশাসক প্রীতি গোয়েল, পর্যটন দপ্তরের যুগ্মসচিব জ্যোতি ঘোষ, দার্জিলিংয়ের ডিএফও বিশ্বনাথ প্রতাপ।
গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রকের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়, বনাঞ্চল ও অভয়ারণ্যের সীমা থেকে পাঁচ কিমি পর্যন্ত ইকোসেন্সেটিভ জোন। সেই জোনের ভিতরে নির্মাণ করা যাবে না। গত নভেম্বর মাসে ফের একটি নির্দেশিকা জারি করে জোনের সীমানা কমিয়ে এক কিমি করা হয়। এই নির্দেশিকার পরেও সমস্যা ও জটিলতা থাকলে তা জানাতে বলা হয়। সেইমতো এদিন বৈঠকে বসে পুরনিগম ও জেলা প্রশাসন।
এদিন মেয়র গৌতম দেব বলেন, ইকোসেন্সেটিভ জোন নিয়ে বৈঠকে বেশিরভাগ সমস্যার সমাধান হয়েছে। তবে বনাঞ্চল, পরিবেশ রক্ষা করে উন্নয়ন করা আমাদের লক্ষ্য। চা শিল্প ও টি ট্যুরিজমের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে। এই বিষয়ে ফের ১০ জানুয়ারি বৈঠক হবে।