একাধিক সূত্র থেকে আয় ও সঞ্চয় বৃদ্ধির যোগ। কাজকর্মে উন্নতি হবে। মানসিক চঞ্চলতা ও ভুল ... বিশদ
শনিবার এই ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একসময় হরিশ্চন্দ্রপুরের জমিদার ছিলেন ছোট তরফদার। তাঁর বংশধররা হরিশ্চন্দ্রপুর সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বাস করছেন। সেচ দপ্তরকে ১৩ বিঘা জমি দান করেছিলেন জমিদার। তবে সেই জমি তাঁর নামে রয়ে গিয়েছে। এখনও হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতাল সংলগ্ন মহানন্দা সেচ বিভাগের প্রায় ১৩ বিঘা জমি দপ্তর ঘিরে রেখেছে। অভিযোগ, জমিদার ছোট তরফদারের এক ছেলে মন্মথনাথ মিশ্র দীর্ঘদিন দক্ষিণ ২৪ পরগণায় থাকেন। তাঁর ছেলে দীপেন্দ্র কুমার মিশ্র তাঁর ভাগের ছয় বিঘা জমি হরিশ্চন্দ্রপুরের কাউয়ামারী গ্রামের সিরাজুল হকের কাছে প্রায় দেড় কোটি টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। সেই জমির যে ওয়ারিশ সার্টিফিকেট রয়েছে, সেখানে আলিপুর আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের সই রয়েছে। যেটি রায়তি সম্পত্তি বলে উল্লেখ আছে। সেই কাগজের ভিত্তিতে আবার তুলসীহাটা সাব রেজিস্টার অফিসে এই জমি সিরাজুলের নামে রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হয়। তারপর সিরাজুল ভূমি দপ্তরে রেকর্ডের জন্য আবেদন করেন। তখন সন্দেহ দানা বাঁধে দপ্তরের কর্মীদের মনে। তাঁরা খতিয়ে দেখার জন্য শনিবার জমি দেখতে যান। মাপজোখ করে দেখা যায় বিক্রি হয়ে গিয়েছে সরকারি জমি। তখন বাতিল করা হয় রেকর্ডের আবেদন।
হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের ভূমি দপ্তরের আধিকারিক উদয় ভট্টাচার্য বলেন, সেচ দপ্তরের এই জমি বিক্রির ঘটনার তদন্ত করতে জেলাশাসকের নির্দেশে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কোনও আধিকারিক যুক্ত থাকলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ক্রেতা সিরাজুল বলেন, কাগজপত্র দেখে বৈধভাবে জমি কিনেছি। আমার নামে জমি রেজিস্ট্রি হয়েছে। এখন মহানন্দা সেচ বিভাগের জমি বলে দাবি করছে ভূমি দপ্তর। জমি রেকর্ড করে না দিলে কারণ জানিয়ে লিখিত দিতে হবে দপ্তরকে। কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব।
তুলসীহাটা ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের সাব রেজিস্ট্রার রমজান আলির কথায়, দীপেন্দ্র কুমার মিশ্রের স্ত্রী আলেয়া ভট্টাচার্যের নামে জমি রয়েছে। ওয়ারিশ সূত্রে জমি বিক্রি করেছেন তিনি। আলিপুর আদালত থেকে ওয়ারিশ সার্টিফিকেট তুলেছেন। বৈধ কাগজ দেখে জমি রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। এটা যে মহানন্দার জমি, সেটা ভূমি দপ্তর খতিয়ে দেখবে।
হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের ভূমি দপ্তরের রেভিনিউ অফিসার হিমাংশু কুমার মণ্ডল বলেন, ওয়ারিশ সার্টিফিকেট দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তবে অনলাইনে রায়তি স্টেটাস দেখাচ্ছিল। তদন্ত করে জানতে পারি এটা মহানন্দা সেচ বিভাগের জমি। তাদের চিঠি করে জানানো হয়েছে। মাপজোখ করে আবেদন বাতিল করা হয়েছে।
মহানন্দা সেচ বিভাগের জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার রাকেশ লালা বলেন, দপ্তরকে অন্ধকারে রেখে জমি বিক্রি ও রেজিস্ট্রি হয়েছে। কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিজস্ব চিত্র