একাধিক সূত্র থেকে আয় ও সঞ্চয় বৃদ্ধির যোগ। কাজকর্মে উন্নতি হবে। মানসিক চঞ্চলতা ও ভুল ... বিশদ
নৃশংস খুনের পরে কার্যত বিধ্বস্ত চৈতালি সরকারের দুশ্চিন্তা আরও বাড়িয়েছে বাবলার প্রিয় কুকুরের এই আচরণও। প্রিয় পোষ্যের দিকে তাকিয়ে বাবলার সহধর্মিণী তথা কয়েক দশকের রাজনৈতিক সঙ্গী চৈতালি বলেন, ওর প্রিয় পোষ্য খাওয়া প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। এই কুকুরটি আমার স্বামীর সন্তানতুল্য ছিল। বাড়ি ফিরলেই ঝাঁপিয়ে কোলে উঠত ওঁর। স্বামীও সন্তানের মতো যত্ন করত। খাওয়ানো, শীতে গরম পোশাক পরানো সব কিছুই করত নিজের হাতে। জানি না ওর এই আচমকা চলে যাওয়া পোষ্যটি কিছু আঁচ করতে পারছে কিনা!
চৈতালি জানান, শুধু গৃহপালিত পোষ্যই নয়, বাবলার বাড়ির দোরগোড়ায় রোজ সকালে এসে হাজির হত পাড়ার আরও কয়েকটি সারমেয়। তাদেরও নিয়মিত গ্রাসাচ্ছাদনের ব্যবস্থা করতেন বাবলা। তারাও দরজায় এসে শেষ পর্যন্ত ফিরে গিয়েছে মনিবের সন্ধান না পেয়ে।
এদিন কথোপকথনের ফাঁকে চৈতালি ফের তুলেছেন তাঁর স্বামীর খুনের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি মমতাদি ও প্রশাসন প্রকৃত কুচক্রীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেবেন। সুপারি কিলারদের শাস্তি তো চাই। তার চেয়েও বড় কথা, বাবলার মতো নেতাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার মূল ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করে ফাঁসিকাঠে তোলা। চৈতালির কথায়, খুন করার মূল চক্রী একজন হতে পারে না। সম্ভবত রয়েছে একাধিক প্রভাবশালী পাকা মাথা। তবে যারা পুলিসের জালে ধরা পড়েছে, তাদের চেনেন না বলে জানিয়েছেন চৈতালি। ইংলিশবাজার পুরসভার কয়েক দফার কাউন্সিলার, জেলা শিশু কল্যাণ পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান চৈতালি এদিন সংবাদমাধ্যমকে জানান, এলাকায় বসেই যে বাবলাকে খুনের ছক কষা হচ্ছে, সে সম্বন্ধে তিনি বা স্বামী কিছুই বুঝতে পারেননি। চৈতালির আক্ষেপ, নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহার করা না হলে হয়তো অকালে ঝড়ে যেত না বাবলার প্রাণ।