সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: জন্ম থেকে এক পা বাঁকা, সরু। লাঠির ভরে চলাফেরা। কাজ করতে পারেন না। ভিক্ষা করে কোনওরকমে স্ত্রী ও তিন সন্তানের ভাতটুকু জোগাড় করেন। দিনে দুমুঠো খাবার জোগাড় হলেও রাতে ঘুম নেই হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের গাররা গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ শাহিদ হোসেনের। ভাঙাচোরা ঘরে তিন নাবালক সন্তানকে নিয়ে বসবাস তাঁর। আবাসের তালিকায় নাম না থাকায় ঘরের জন্য প্রশাসনের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন বিশেষভাবে সক্ষম শাহিদ। বাস্তুভিটা ছাড়া আর কোনও জমি নেই শাহিদের। জরাজীর্ণ ঘরে পাঁচজনের বসবাস। বর্ষার সময় জল চুইয়ে মেঝেতে পড়ে। শীতের সময় বেড়ার ফাঁকা দিয়ে ঢোকে কনকনে হাওয়া। একাধিকবার আবেদন করেও ঘর না মেলায় হতাশ শাহিদ। তিনি বলেন, ১০ বছর ধরে ভাঙা ঘরে করছি। প্রতিবন্ধী ভাতা পেলেও মাথা গোঁজার পাকা ঘর হয়নি। ঘরের জন্য একাধিকবার আবেদন করেছি। কিন্তু হয়নি।
সরকারি ঘর না মেলায় হতাশ শাহিদ। বলেন, যাঁদের পাকা বাড়ি ও জমি রয়েছে, তাঁরাই আবার ঘর পাচ্ছেন। অথচ যাঁদের দরকার, তাঁদের নাম আবাসের তালিকায় নেই। বিডিও সৌমেন মণ্ডল বলেন, এরকম অনেকেই আছেন, যাঁদের তালিকায় নাম নেই। তালিকায় নাম সংযোজনের নির্দেশ এলেই এইসব উপভোক্তাদের নাম ঢোকানো হবে।
মহম্মদ শাহিদ হোসেন।-নিজস্ব চিত্র