অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সাংসারিক সুখ বাড়বে। জটিল কর্ম সম্পাদনে সাফল্য ও ওপরওয়ালার আস্থালাভ। ... বিশদ
১১ নভেম্বর ট্রেন বোলপুর স্টেশন আসার পর থেকে তপনের কোনও খোঁজ মিলেছে না। ঠিকাদারের কাছ থেকে এ খবর শোনার পরে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তপনের স্ত্রী চন্দনা। প্রতিবেশী একজন এলেও তপন আসেননি। তবে ট্রেনে থাকা তপনের ব্যাগ পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছেন ওই ব্যক্তি। গত মঙ্গলবার কোচবিহার জিআরপিতে স্বামী নিখোঁজ থাকার ডায়েরি করেন চন্দনা ।
তিনি বলেন, বেঙ্গালুরুতে কাজে গিয়েছিল ও। এক সহকর্মী গ্রামে ফিরলেও তপন এল না কেন, এটা ভেবেই পাচ্ছি না। জিআরপি’র কাছে গিয়েছিলাম। তারা খোঁজ নিচ্ছে বলে আশ্বাস দিয়েছে। চারদিন হয়ে গেলেও এখনও স্বামীর কোনও খোঁজ পেলাম না। চন্দনা সংসার চালাতে মাঝেমধ্যে বিড়ি বাঁধেন। দিনমজুরেরও কাজ করেন। ছোট ছেলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ছে। তপনের বাবা মনভোলা মোদক শয্যাশায়ী। কথা বলতে পারেন না। ছেলে বাড়ি ফেরেনি, এ কথা কানে গিয়েছে তাঁরও। তারপর থেকে চোখ ছলছল বৃদ্ধের। ঈশ্বরের কাছে পরিবারটির প্রার্থনা— যাতে সুস্থ শরীরে বাড়ি ফিরে আসে তপন।