কাপড়ের ব্যবসায় অগ্রগতি। পেশাদার শিল্পীদের পক্ষে দিনটি শুভ। উচ্চ/উচ্চতর শিক্ষায় উন্নতি। ... বিশদ
বাগডোগরার আদিবাসী মহিলা মার্সিয়া বারা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডে ৪৫ নম্বর বেডে ভর্তি হন। এদিন তাঁর ভাগনি সুষমা এক্কা বলেন, ওয়ার্ড থেকে নার্স স্লিপ দিয়ে বলেন বাইরে থেকে পরীক্ষা করিয়ে আনতে। কোথায় কীভাবে করব কিছুই বলেননি। তাই আমরা মামিকে স্ট্রেচারে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ক্যাথল্যাব নেই। এখানে অ্যাঞ্জিওগ্রাম হয় না। অ্যাঞ্জিওগ্রাম, অ্যাঞ্জিওপ্লাস্ট, স্টেন্টিং সহ হার্টের জটিল চিকিৎসা বাইরে বেসরকারি ব্যবস্থার উপরে নির্ভর করতে হয়। আর এতেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কেন এভাবে স্লিপ ধরিয়ে একজন রোগীকে ছেড়ে দেওয়া হল। এভাবে রোদের মধ্যে স্ট্রেচারে টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য রোগীর মৃত্যু হলে তার দায় কে নেবে। একজন হৃদরোগীকে এভাবে ছেড়ে দেওয়ায় ওয়ার্ডের কর্তব্যরত নার্স ও ডাক্তারদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে প্রায় দেড়মাস ধরে পিজিটি ও জুনিয়র ডাক্তারদের আউটডোরে কর্মরবিরতি চলছে। যার জেরে আউটডোর পরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়েছে। জরুরি বিভাগেও নিয়মরক্ষার চিকিৎসা চলছে এবং গুরুতর অসুস্থ রোগীদের ভর্তি না নিয়ে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। যাঁদের ভর্তি নেওয়া হচ্ছে তাঁদের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও যে চূড়ান্ত অবহেলা চলছে সেই অভিযোগের সত্যতা এদিন সামনে এল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
এদিন সকালে এক মহিলাকে স্ট্রেচার ঠেলে তাঁর পরিবারের লোকদের রাস্তায় ঘুরতে দেখে কয়েকজন শুভানুধ্যায়ী জানতে চান, কেন এভাবে তাঁরা ঘুরছেন। সুষমা ওয়ার্ডে থেকে দেওয়া স্লিপ দেখিয়ে গোটা ঘটনা জানান। এদিন ছুটির দিন থাকায় হাসপাতালের কোনও আধিকারিককে পাননি বলে জানান। তারপর ফোন করে বিষয়টি হাসপাতাল সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিকের নজরে আনা হয়। শুনে তিনি বিস্মিত হন। বলেন, এমন ঘটনা ঘটা উচিত নয়। একজন রোগী কেন এভাবে বাইরে আসবে। যদি অ্যাঞ্জিওগ্রাম করাতে হয় তাহলে হাসপাতাল থেকে তাঁকে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। আমাদের এখানে অ্যাঞ্জিওগ্রাম হয় না। কীভাবে ওয়ার্ড থেকে একজন হার্টের রোগীকে স্ট্রেচারে করে রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া হল খতিয়ে দেখা হবে।
তারপর সুপারের নির্দেশ মতো সুষমা এক্কারা স্ট্রেচার ঠেলে আবার তাঁর মামিকে ফিমেল ওয়ার্ডে ফিরিয়ে নিয়ে যান।