সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
কৃষ্ণ বলেন, আমার উপর ভরসা রাখার জন্য দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ। এবারের ভোটে একদিকে তাঁর ৭৪টি জনমুখী প্রকল্প। আরেকদিকে বিধায়ক হিসেবে গত তিন বছরে আমার উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ড। সেই তথ্য নিয়েই মানুষের কাছে যাব। শুক্রবার সকালে তৃণমূলের ওয়েবসাইটে রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে কৃষ্ণের নাম প্রকাশিত হয়। সকাল সকাল প্রথমেই নিজের দপ্তরে গিয়ে দুপুর পর্যন্ত একের পর এক বৈঠক করেন কৃষ্ণ। সেখান থেকে সোজা রায়গঞ্জ পুরসভায়। সেখানে আধ ঘণ্টার বেশি সময় পুর প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস, উপ পুর প্রশাসক অরিন্দম সরকার, প্রশাসক বোর্ডের সদস্য সাধন বর্মন সহ অন্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রার্থী। লোকসভায় ভরাডুবি ভুলে একসঙ্গে সবাই ময়দানে ঝাঁপাবেন বলে পুর প্রশাসক স্পষ্ট করে দিয়েছেন এদিন। সন্দীপ বলেন, তৃণমূল একটা পরিবার। নির্বাচনে দেখিয়ে দেব আমাদের পরিবার কতটা শক্তিশালী।
এদিন কৃষ্ণের নাম ঘোষণা হওয়ায় পর উচ্ছ্বসিত অনুগামীরা। এপ্রসঙ্গে প্রার্থী বলেন, জয়ের পর একসঙ্গে মিষ্টিমুখ করব। রায়গঞ্জের উন্নয়নের স্বার্থে মানুষ আমাকে নির্বাচিত করুন। কারণ আমি জিতলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারে সামিল হতে পারব। এই জেলার, শহরের উন্নয়ন হবে। বিধায়ক হিসেবে গত তিন বছরে রায়গঞ্জ-বারসই সেতু নির্মাণ কাজ প্রায় ৯০ শতাংশ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছি। এবার নির্বাচিত হয়ে সেই কাজ শেষ করব। আলোচনা করে দু’একদিনের মধ্যেই মনোনয়ন দাখিলের কথা জানিয়েছেন কৃষ্ণ। তৃণমূলে যেখানে জোর তত্পরতা, বিরোধী বাম-কংগ্রেস জোট এবং বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণাই করতে পারেনি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, লোকসভায় মানুষ একরকম চিন্তাভাবনা করে ভোট দেন। বিধানসভায় সেই মনোভাব সম্পূর্ণ পাল্টে যায়। গত লোকসভা ভোটে কালিয়াগঞ্জে আমরা ৫৭ হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিলাম। তারপর ওই আসনে বিধানসভা উপ নির্বাচনে আড়াই হাজার ভোটে জিতেছি। এবারেও একই ঘটনা ঘটবে।