বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, বংশীবাবুরা তো গত নির্বাচনে আমাদেরই সমর্থন করেছিলেন। বিজেপি’র জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, আমরাতো সকলের ভোট চাইছি। বর্তমানে গ্রেটারের বংশীবদন বর্মন গোষ্ঠীর সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক যথেষ্ট নিবিড়। বংশীবাবুকে বর্তমানে রাজবংশী উন্নয়ন ও সাংস্কৃতিক বোর্ডের চেয়ারম্যান ও রাজবংশী ভাষা আকাদেমির ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে। তৃণমূল নেত্রীর বদান্যতাতেই তিনি ওই গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন। গ্রেটারের অপর একজন নেতাও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন। বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানে বংশীবাবু এখন ডাক পান। সেক্ষেত্রে তৃণমূলকে সমর্থন করতে তাঁদের আর বিশেষ কোনও বাধা নেই। এবার কেবলমাত্র কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক ডেকে তাতেই সিলমোহর দিতে চান বংশীবাবু। কিন্তু গোটা বিষয়টিতে কিছুটা জটিলতা তৈরি হয়েছে। প্রথমত বংশীবাবুকে প্রার্থী করা হবে বলে এবার জল্পনা ছড়িয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বংশীবাবুর ভাগ্যে টিকিট পাওয়ার শিঁকে ছেঁড়েনি। এনিয়ে গ্রেটার কর্মী সমর্থকদের মধ্যে কিছুটা অসন্তোষ ছড়িয়েছে। অন্যদিকে প্রাক্তন বাম নেতা পরেশ অধিকারীকে এবার তৃণমূল প্রার্থী করেছে। গ্রেটারের কর্মী সমর্থকদের একাংশ তাঁকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই অনীহা প্রকাশ করেছেন।
সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত লোকসভা উপনির্বাচনে রাজবংশী ভাষার স্বীকৃতি সহ নানা দাবি পূরণের শর্তে গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের বংশীবদন গোষ্ঠী তৃণমূলকে সমর্থন করেছিল। গ্রেটার নেতা বংশীবদন বর্মনকে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদে বসানো হয়। তা সত্ত্বেও গ্রেটার নেতৃত্বের একাংশের মন এখনও পুরোপুরি ভরেনি। সেকারণেই এখনই এব্যাপারে খোলসা করে কিছু না বলে গোটা বিষয়টি নিয়ে দরকষাকষি করতে চাইছেন গ্রেটার নেতৃত্ব। অন্যদিকে বিগত দিনে লোকসভা নির্বাচনে বংশীবদন বর্মন প্রার্থী হয়েছিলেন। ২০১৪’র লোকসভা নির্বাচনে বংশীবাবু মাত্র ১৩ হাজার ২০৫টি ভোট অর্থাৎ ০.৯৯শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি ৩৭ হাজার ২২৬টি ভোট অর্থাৎ ৩.৩২ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। রাজনৈতিক মহলের মতে এবার নির্বাচনে দাঁড়ালেও তিনি যে ব্যাপক সাড়া ফেলে দেবেন এমনটা নয়। সেক্ষেত্রে বর্তমান পরিস্থিতিতে তৃণমূলকে সমর্থন করাটাই গ্রেটারের কাছে অনেকটাই যুক্তিপূর্ণ বলে দলের অনেকের অভিমত। অন্যদিকে গ্রেটারের অনন্ত রায় গোষ্ঠীর সঙ্গে বিজেপি ইতিমধ্যেই নিবিড় সম্পর্ক রাখা শুরু করেছে।