বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
উল্লেখ্য, উত্তর মালদহের এমপি মৌসম নূর দলত্যাগ যে কংগ্রেসের পক্ষে বিরাট ধাক্কা তা অনেক কংগ্রেস নেতা কর্মীই গোপনে বা প্রকাশ্যে মেনে নিচ্ছেন। শুধু এমপি নন। মালদহে কংগ্রেসের সংগঠনের দায়িত্বেও বহুদিন ছিলেন মৌসমই। সুতরাং তাঁর অবর্তমানে রাহুলের সভা ভরাতে যে সাংগঠনিক শক্তি ও দক্ষতার প্রয়োজন তার কতটা এই মুহূর্তে জেলা কংগ্রেসে রয়েছে তা নিয়ে তর্ক চলছে দলের মধ্যেই।
কিন্তু আপাতত সেই বিতর্কে জড়াতে চাইছেন না জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। মৌসমের অনুপস্থিতি ভরাট করতে আসরে নামতে হয়েছে কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মোস্তাক আলম সহ দুই কার্যনির্বাহী সভাপতি অর্জুন হালদার এবং কালীসাধন রায়কেও।
মোস্তাক আলম বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বুধবার শেষ হয়েছে। এখন আর মাইক বাজানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা নেই। তাই আমরা গ্রামেগঞ্জে মাইকে ব্যাপক প্রচার শুরু করেছি বৃহস্পতিবার থেকেই। ২৩ মার্চ রাহুল গান্ধীর সভায় অন্তত দুই লক্ষ মানুষের জমায়েত হবে। এনিয়ে অবশ্য প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকারের বক্তব্য, চাঁচলে রাহুল গান্ধীর সভায় দু’লক্ষ মানুষ আনতে যে জায়গা বা সাংগঠনিক শক্তি প্রয়োজন তা কংগ্রেসের রয়েছে কিনা তা নিয়েই সংশয় রয়েছে।
তবে এই সব প্রশ্নকে আমল দিতে নারাজ জেলা কংগ্রেস। দলের জেলা সভাপতির দাবি যে মাঠে রাহুল গান্ধীর সভা হবে তার আশেপাশে অনেক ফাঁকা জায়গা রয়েছে। এত মানুষ এই সভায় আসবেন যে কলম বাগানের মাঠ তো বটেই আশেপাশের খালি জায়গাগুলিতেও তিল ধারণের জায়গা থাকবে না। হরিশ্চন্দ্রপুর, চাঁচল, রতুয়া, হবিবপুর, গাজোল যেখানেই আমরা সভা করছি সেখানেই মানুষের উৎসাহ দেখতে পাচ্ছি। তাই দুই লক্ষ মানুষের জমায়েত করা কঠিন কাজ হবে না। মাইক প্রচার শুরু করার পাশাপাশি জেলা কংগ্রেসের পদাধিকারীরা প্রত্যেকেই বিভিন্ন ব্লকে গিয়ে কর্মিসভা করছেন।