বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
আগাগোড়া অমরবাবুর পাশে ছিলেন জিটিএ প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান। হুড খোলা জিপের মধ্য থেকে অমরবাবু কর্মী সমর্থকদের অভ্যর্থনা কুড়িয়েছেন। খাদা, মালা, ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানানোর ফাঁকে অমরবাবু বলেন, আমি খুব খুশি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে প্রার্থী করেছেন। তৃণমূলের সঙ্গে যৌথভারে নির্বাচনে লড়াই করছি। তিনি বলেন, আমাদের দল এবং তৃণমূল একসঙ্গে বসে নির্বাচনের স্ট্রাটেজি বানাবে। পাহাড়ের ইস্যু একরকম হবে। সমতলের ইস্যু আলাদা হবে। মূল লড়াই বিজেপি’র সঙ্গে হলেও কোনও কঠিন লড়াই নয় বলে দাবি করেন অমরবাবু। তিনি বলেন, কোনও কঠিন লড়াই হবে না সহজেই জিতবো। পাহাড়ের মানুষ আমার সঙ্গেই আছেন। তবে মোর্চার প্রধান দাবি পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যান্ড যে ইস্যু হচ্ছে না তা এদিন পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিলেও পাহাড়ের মানুষদের পরিচয় (আইডেনটিটি) নিয়ে লড়াই করার কথা জানিয়ে দেন দার্জিলিংয়ের প্রার্থী। অমরবাবু বলেন, গোর্খাল্যান্ড তো এখন হবে না। কিন্তু আমরা আইডেনটিটির জন্য লড়বো। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেন আইডেনটিটি আর গোর্খাল্যান্ড এক নয়।
তৃণমূল নেত্রী প্রার্থী ঘোষণার পর এদিন কলকাতা থেকে ফেরেন অমরবাবু। বাগডোগরা বিমান বন্দরে সকাল ১০টা নাগাদ নামেন। এর আগেই পাহাড় থেকে দলে দলে মোর্চা কর্মীসমর্থকরা বিমান বন্দরে ভিড় করতে শুরু করেন। বেলা ১০টার মধ্যে কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক কার্যত ঘিরে ফেলেন বিমান বন্দর। কারও হাতে মোর্চার পতাকা তো কারও হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা। সেই সঙ্গে চলে শ্লোগান। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাহাড় থেকে অন্তত ২০০ গাড়ি এসেছে। সমতলের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মীসমর্থকরা এসেছিলেন। কর্মীসমর্থকদের ভিড়ে বিমান বন্দর কয়েক ঘণ্টার জন্য কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।