ঢাকা: ‘গণঅভ্যুত্থান’-এর নাম করে আদতে হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছিল! এমনই অভিযোগ তুললেন বাংলাদেশের ‘প্রাক্তন’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার হাসিনার একটি অডিও বার্তা প্রকাশ করেছে আওয়ামি লিগ। দলের ফেসবুক পেজে ওই অডিও বার্তায় হাসিনা দাবি করেছেন, গত বছরের ৫ আগস্ট পদচ্যুত হওয়ার পরেই তাঁকে ও বোন শেখ রেহানাকে খুন করার চেষ্টায় ছিল আন্দোলনকারীরা। কোনওমতে দু’জনে ভারতে চলে আসতে সক্ষম হন। হাসিনা বলেছেন, ‘মাত্র ২০-২৫ মিনিটের ব্যবধানে আমরা মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসি। রেহানা আর আমি কোনওমতে রক্ষা পাই।’ ওইদিন হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পরেই উত্তেজিত জনতা ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ঢুকে পড়ে। তারপর সেখানে কয়েক ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালানো হয়। অডিও বার্তায় হাসিনাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আল্লার ইচ্ছাতেই ২১ আগস্ট বোমা বিস্ফোরণে বেঁচে গিয়েছিলাম, ৫ আগস্টও রক্ষা পেয়েছি।’ ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় হাসিনার সভায় গ্রেনেড হামলা হয়। বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হলেও অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছিলেন হাসিনা। একইসঙ্গে ২০০০ সালে কোটালিপাড়ায় তাঁর সভাস্থলের কাছেই ৭৫ কেজি ওজনের টাইম বোমা উদ্ধারের প্রসঙ্গও তোলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এখনও আমি বেঁচে আছি কারণ আল্লার ইচ্ছা যে আমি আরও কাজ করি।’ কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়ে হাসিনা বলেন, ‘আমার কষ্ট হচ্ছে। আমি এখন দেশছাড়া, ঘরছাড়া। সব কিছু পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’
অন্যদিকে, বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন আয়োজন নিয়ে বিএনপি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সংঘাত অব্যাহত। ফের দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের দাবি তুলেছে বিএনপি। শুক্রবার সন্ধ্যায় দলের যুগ্ম মহাসচিব শহিদউদ্দিন চৌধুরি অ্যানি এক সভায় বলেন, ‘নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত দেশে স্থিতিশীলতা আসবে না। গণতন্ত্রের ভিতকে শক্তিশালী করার পূর্বশর্তই হল নির্বাচন।’ অন্যদিকে, একই দিনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলম জানিয়ে দিয়েছেন, ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করা অসম্ভব। তাঁর মতে, এত রক্ত, এত জীবনের বিনিময়ে জনগণের আকাঙ্ক্ষা শুধু একটি নির্বাচনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।’ এদিকে, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ বিভিন্ন পদে জয়ী হয়েছেন আওয়ামি লিগপন্থী প্রার্থীরা।