আজ কর্ম ভাগ্য অনুকূল। অর্থাগমের ক্ষেত্র বাড়বে। গবেষকদের পক্ষে উল্লেখযোগ্য সাফল্য ও স্বীকৃতি লাভের সম্ভাবনা। ... বিশদ
কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ‘আত্মনির্ভর ভারত’ নিয়ে লাগাতার গলা ফাটিয়ে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০২০ সালের পর থেকে কেন্দ্রের তরফেও প্রচারের অন্ত নেই। কিন্তু উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, তার মধ্যেই দেশ ছেড়েছেন বিপুল সংখ্যক ভারতীয়। সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তিতে পড়েছিল পদ্মশিবির। শাসকদলের সমালোচনায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন বিরোধীরা। এবার ‘আত্মনির্ভর ভারত’ পর্বের সেই চার বছরের মধ্যেই দেশ ছেড়ে মার্কিন মুলুকে অনুপ্রবেশের চেষ্টায় তিন নম্বরে উঠে এসেছে ভারত। আমেরিকার এক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ ভারতীয়ের সংখ্যা ছিল ৭ লক্ষ ২৫ হাজার। মেক্সিকো ও এল সালভাদোর থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের পরেই।
গত অক্টোবর মাসের কথা। একটি চার্টার্ড বিমানে ১০০ জনেরও বেশি অনুপ্রবেশকারী ভারতীয়কে এদেশে ফেরত পাঠায় বাইডেন প্রশাসন। আর ২০২৪ মার্কিন অর্থবর্ষে (সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) ১ হাজারেরও বেশি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন হোমল্যান্ড সিকিওরিটির অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি রয়েস বার্নস্টেইন মুরি। জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের অক্টোবর মাস থেকে এখনও পর্যন্ত অনুপ্রবেশের সময় প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার ভারতীয়কে আটক করেছে মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন। থিঙ্ক ট্যাঙ্কের গবেষকরা জানাচ্ছেন, এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে ভারতের তিনি রাজ্য—পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও গুজরাত। মূলত কাজের খোঁজ ও খালিস্তানি আন্দোলনের বাড়বাড়ন্তে এই বিষয়টি আরও বেড়েছে।
অনুপ্রবেশ ইস্যুতে অবশ্য দীর্ঘদিন ধরেই খড়্গহস্ত ট্রাম্প। সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে জয়ের পর প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট যে এই বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নেবেন, তা জানাতে ভোলেননি গার্সেটি। সেই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, ‘অনেককেই দেখেছি, নিজের বাড়ি-জমি বিক্রি করে অবৈধভাবে আমেরিকায় যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ধরা পড়লে যে সব খোয়াতে হবে, সেকথা ভুলে যান অনেকেই। তাই বৈধপথই সেরা উপায়। অনুপ্রবেশ রুখতে ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে মার্কিন প্রশাসন।’ ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর থেকেই মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে প্রবল উদ্বেগে ভারতীয়রা। কারণ পড়ুয়া হোক বা বেসরকারি চাকরিজীবী—‘আমেরিকান ড্রিম’ সবার চোখজুড়ে। বাইডেনের আমলে বিপুল সংখ্যক ভারতীয় মার্কিন মুলুকে যাওয়ার ছাড়পত্র পেয়েছিলেন। সঙ্গে কমেছিল ভিসার জন্য অপেক্ষার সময়ও। সাম্প্রতিক সময়ে আবার ভিসার জন্য অপেক্ষা বাড়ছে। তার সঙ্গে জুড়েছে অজানা এক ভয়। ভিসায় কোপ বসাবেন না তো ট্রাম্প? নতুন প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেবে, তা নিয়ে আগাম মন্তব্য করতে না চাইলেও গার্সেটি বলেন, ‘এই সম্পর্ক আরও সামনের দিকে এগবে। আসলে অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ার কমেন্ট সেকশন পড়ে বিভিন্ন নীতি নিয়ে কী সিদ্ধান্ত হতে পারে, তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। অযথা আতঙ্কিত হবেন না। কারণ এই সমস্ত বিষয়গুলি রাতারাতি কিছু হয় না। তাছাড়া আমেরিকারও মেধাবী পড়ুয়া ও দক্ষ কর্মী প্রয়োজন।’