যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ
উদ্যোক্তারা বললেন, এখনও হংকং করোনা সতর্কতা বিধি কঠোরভাবে মেনে চলছে। তাই পুজো বিষয়ক বেশকিছু আয়োজন বাদ রাখতে হয়েছে। তবে বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবার যে পুজোর উন্মাদনা অনেকটাই বেশি, একথা একবাক্যে স্বীকার করে নিচ্ছেন তাঁরা।
হংকংয়ের এই পুজোর বিশেষত্ব, তিথি অনুসারে পাঁচদিনই যাবতীয় আচার পালন হয়। গত বছর অরুণ পালের তৈরি প্রতিমা কুমারটুলি থেকে হংকং পাড়ি দিয়েছিল। এবছর সেই প্রতিমাই পূজিতা হবেন। সাধারণত এই পুজোয় কলকাতা থেকে পুরোহিত হাজির হন। গত বছর করোনার জন্য তিনি যেতে না পারলেও অনলাইনে কর্তব্য পালন করেছিলেন। এই বছর ভিসা সংক্রান্ত নিয়মকানুনের জটিলতা মেটায় আবার পুরনো নিয়মেই ফিরে গিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
মণ্ডপসজ্জার বিষয় ভাবনায় রয়েছে বাংলার পটচিত্র ও যামিনী রায়ের শিল্পকলার মেলবন্ধন। সরকারি বিধিনিষেধের কারণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ। এমনকী, কলকাতা থেকে ঢাকিদেরও নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নির্দিষ্ট সংখ্যায় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব যাতে মানা হয়, তা নিশ্চিত করতে তৈরি হয়েছে পৃথক একটি ক্রাউড কন্ট্রোল টিম।
পুজো মানেই ডায়েট ভুলে দেদার খাওয়াদাওয়া। তাই কলকাতা থেকে শেফ হাজির হয়েছেন হংকংয়ে। পুজোর দিনগুলিতে রকমারি পদের আয়োজন হবে। ষষ্ঠী থেকে দশমী সদস্যদের জন্য থাকছে লাঞ্চ ও ডিনারের ব্যবস্থা। চার পদ নিরামিষ খাবার দিয়ে সাজানো হবে লাঞ্চ। দশমীতে সিঁদুরখেলার পর ডিনারে থাকছে রকমারি আমিষ পদ।
খিচুড়ি থেকে শুরু করে ফিশ ফ্রাই। কব্জি ডুবিয়ে না খেলে বাঙালির পুজো সম্পূর্ণ হয় না। প্রবাসে থাকলে খানিক মন খারাপ হতেই পারে। এবছর নেদারল্যান্ডসের বাঙালিরা অবশ্য পুজোয় উপভোগ করতে পারবেন দেশীয় মেনু। সৌজন্যে শ্রেয়সী দত্ত রক্ষিতের ‘ঝিমস কিচেন’। ২০২০ থেকে ফুড চেন চালু করেন অ্যামস্টেলভিন নিবাসী শ্রেয়সী। ধীরে ধীরে সেখানকার প্রবাসী বাঙালির মন জয় করে নেয় এই খাদ্য প্রতিষ্ঠান। ষষ্ঠী, সপ্তমী ও নবমীতে নেদারল্যান্ডসের হইচই ও আনন্দধারার পুজো কমিটিতে স্টল দিচ্ছে ‘ঝিমস কিচেন’।
দুর্গাপুজোর জন্য তৈরি আমেরিকার নিউ জার্সির গার্ডেন স্টেট পুজো কমিটিও। তাঁদের লক্ষ্য, মাতৃবন্দনার মধ্যে দিয়ে ভারত তথা বাংলার সংস্কৃতিকে তুলে ধরা।