যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ
ব্রাজিলের সাও পাওলোর প্রবাসী বাঙালিরা দুর্গা পুজো শুরু করেছিলেন ২০১১ সালে। সাও পাওলো থেকে অনুজা ভট্টাচার্য ‘বর্তমান’কে জানিয়েছেন যে, দেশের প্রতি নাড়ির টান আর পুজোর সময় মনে শূন্যতা পূরণের তাগিদেই এখানকার পুজোর সূত্রপাত। প্রথা মেনে পুষ্পাঞ্জলি থেকে শুরু করে সন্ধিপুজো, হোমযজ্ঞ, সিঁদুর খেলাও বাদ পড়ে না সাও পাওলোর দুর্গা পুজোয়। মহিলা পুরোহিত রত্নাবলি অধিকারী এবং সাও পাওলোর পুরানো ও নতুন বাঙালি পরিবারগুলির সহায়তায় সাড়ম্বরেই চলছে পুজো। রয়েছে মানাউসের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের পরিবারের সক্রিয় অংশগ্রহণ।
ওমানের মাসকটে প্রথমবার পুজো হয়েছিল ১৯৮২ সালে। গড়ে উঠেছিল বঙ্গীয় পরিষদ। এখানকার পুজোয় সোৎসাহে অংশগ্রহণ করেন অন্তত সাড়ে তিনশো বাঙালি পরিবার। এখানে দু’বেলাই মা দুর্গাকে ভোগ নিবেদন করা হয়। সদস্য অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী বলেছেন, এখানে প্রায় এক মাস ধরে শারদ উৎসব চলে। শিশুদের জন্য বসে আঁকো, কুইজ সহ বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। হয় বিজয়া সম্মিলনীও হয়। কলকাতা থেকে আসেন শিল্পীরা। অস্ট্রেলিয়াতে ইন্ডক্লাবের আয়োজনে প্রতি বছর হয় দুর্গাপুজো। মূলত মেলবোর্নের উইনধাম সিটি কাউন্সিল বসবাসকারী প্রবাসীদের নিয়েই এই ক্লাব। বিদেশে ‘ঘরের’ অনুভূতি পৌঁছে দেওয়াই উইনধাম পুজোর লক্ষ্য। ২০১৪ সালে গঠিত হওয়ার পর এই ক্লাব দিনে দিনে আরও শক্তিশালী হয়েছে।
দক্ষিণ জার্মানির মৈত্রী ক্লাব আয়োজিত স্টুটগার্ট সর্বজনীন দুর্গাপূজো এবার দ্বিতীয় বছরে পা দিলো। চারদিনের পুজোয় সকাল বিকেল মিলিয়ে প্রায় ২০০ এর বেশি মানুষ যোগ দিচ্ছে এই পুজো। একদিকে স্বাদে আহ্লাদে বাঙালিয়ানা পরিবেশন করতে ক্লাবের সদস্যরা নিজেরাই হেঁসেলের দায়িত্ব নিয়েছেন। থাকছে রকমারি খাওয়ারের স্টলও। ক্লাবের সহ সভাপতি নিজেই পুরোহিত। উৎসবের মজা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করার জন্য গান-বাজনা, হাসি-আড্ডা, ধুনুচি নাচ তো আছেই, সেইসঙ্গে এবারের পুজোর বিশেষ আকর্ষণ মনোজ মিত্রের হাসির নাটক ‘দন্তরঙ্গ’। উপস্থাপনায় মৈত্রীর সদস্যদের নিয়ে গড়া ‘ঘরভোলা’ নাট্যদল।