যে কোনও কর্মেই একটু বাধা থাকবে। তবে উপার্জন মন্দ হবে না। ললিতকলায় ব্যুৎপত্তি ও স্বীকৃতি। ... বিশদ
আয়ারল্যান্ডের দুর্গাপুজোর এবার ষষ্ঠ বর্ষ। অন্যান্য জায়গায় পুজোতে পদ্ম ফুল ব্যবহার করা হলেও এক্ষেত্রে কিছুটা ব্যাতিক্রমী এদেশের উদ্যোক্তারা। সেখানে পুজোতে পদ্মের বদলে ব্যবহার করা হয় লিলি ফুল। আয়ারল্যান্ডে দুর্গাপুজো নিয়ে প্রবল আগ্রহ থাকলেও অভাব রয়েছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পুরোহিতের। কমিটির অন্যতম সদস্য শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বহু কমিটি পুজো করতে চাইলেও পুরোহিতের অভাবে তারা আয়োজন করতে পারেন না। সেই কারণে এবছর থেকে শুরু করা হচ্ছে পুরোহিত প্রশিক্ষণ। ১০-১২ দিন ধরে চলবে সেই কর্মশালা। চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসা তিনজন শিক্ষানবিশ পুরোহিত এবার কাউন্টিগুলিতে পুজো করবেন।’
ঢাকের আওয়াজে মাততে তৈরি হেলসিঙ্কিও। ১৯৯৯ সালে ফিনল্যান্ডের রাজধানীতে কয়েকজন বাঙালি মিলে শুরু করেছিলেন দুর্গাপুজো। নাম দেন ‘হেলসিঙ্কি দুর্গাপুজো।’ পুজো শুরুর সিদ্ধান্ত নিলেও সেই সময়ে কোনও প্রতিমার জোগাড় করতে পারেননি তাঁরা। বাধ্য হয়ে স্থানীয় এক মহিলার পটচিত্রেই শুরু হয় পুজোর যাত্রা। বেশ কয়েক বছর চেষ্টার পর ২০০৩ সালে প্রতিমা এনে শুরু হয় মাতৃ আরাধনা। বর্তমানে হেলসিঙ্কিতে তিনটি পুজো হয়। হেলসিঙ্কির তুলনায় বেশ অনেকটাই পুরনো লাগোসের পুজো। ১৯৮১ সালে নাইজেরিয়ায় প্রথম দুর্গাপুজোর সূচনা হয় লাগোস বাঙালি অ্যাসোসিয়েশনের হাত ধরে। সেখানকার প্রায় ২০০ বাঙালি পরিবার লক্ষ্মী ও স্বরস্বতী পুজোরও আয়োজন করে। এবছর তাঁরা একটি কালীমন্দির প্রতিষ্ঠারও অনুমতি পেয়েছে।
বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে সঙ্গী করে দুর্গা আরাধনায় মেতেছে মালয়েশিয়া। সেখানকার মালয়েশিয়ান বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন(এমবিএ) কুয়ালা লামপুরের বাঙ্গুনান পেলাড্যাং হলে পাঁচদিন ব্যাপী দুর্গা পুজোর আয়োজন করেছে। সংগঠনের অন্যতম শর্মিষ্ঠা পাল বলেন, ১৯৭৮ সালে পেটালিং জায়ার গীতা আশ্রমে এই পুজোর পথচলা শুরু হয়। পাশাপাশি, কলম্বিয়ার বোগোটা দুর্গা পুজো এবার আট বছরে পা দিল। কোভিড যোদ্ধা হিসেবে স্বাস্থ্যকর্মীদের সম্মান জানাতে গত বছর ২৫০ জনকে খাওয়ানো হয়েছিল।