উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
২০১৮ সালের ১৯ মে বিয়ে হয় মেগান-হ্যারির। পরের বছরই রাজপরিবারে আসে তাঁদের প্রথম সন্তান। তবে ছেলে আর্চির জন্মের আগে থেকেই তার গায়ের রং নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছিল। কারণটা ছিল, মেগানের গায়ের রং। মেগানের কথায়, ‘অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ওকে হয়তো নিরাপত্তা দেওয়া হবে না, হয়তো উপাধি দেওয়া হবে না ইত্যাদি নিয়ে কথাবার্তা হতো’ এই দুশ্চিন্তা মেগানকে গ্রাস করেছিল। মানসিক অবসাদে ভুগতেন তিনি। মেগানের কথায়, ‘কোনওভাবেই বেঁচে থাকতে চাইতাম না। সব সময় এমন চিন্তা মাথায় ঘুরত। আর সেটাই কঠিন বাস্তব।’ তবে পরিবারের কোনও সদস্য এ নিয়ে কথা বলতেন, সে ব্যাপারে মুখ খোলেননি তিনি। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সম্প্রচারিত রাজ পরিবারের প্রাক্তন সদস্য মেগানের ওই সাক্ষাৎকারে বর্ণবিদ্বেষের কাঁটায় এভাবেই বিদ্ধ হল বৈভবে ভরা ব্রিটিশ রাজপরিবার।
রবিবার রাতে আমেরিকায় ওপরার সঙ্গে মেগান ও তাঁর স্বামী হ্যারির দু’ঘণ্টার সাক্ষাৎকারটি সম্প্রচারিত হয়। সঙ্গেই সঙ্গেই হটকেকের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে বহুবার তোলপাড় হয়েছে বিশ্ব। কিন্তু, রাজ পরিবারের গায়ে বর্ণবিদ্বেষের কলঙ্ক এই প্রথম। ওপরার মুখোমুখি হয়ে ব্রিটিশ রাজপরিবারের বিরুদ্ধে একের পর এক বোমা ফাটিয়েছেন প্রাক্তন ‘ডিউক এবং ডাচেস অব সাসেক্স’। তাঁর এই বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারে সঙ্গ দিয়েছেন স্বামী প্রিন্স হ্যারি। মেগানের দাবি, রাজকুমার হ্যারি ও তাঁর প্রথম সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই তার গায়ের রং নিয়ে চলত আলোচনা। ফলে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেন। রাজ পরিবারের কেউ এই পরিস্থিতিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেননি। হ্যারির কথায়, গত বছর রাজ পরিবার ছাড়ার সিদ্ধান্ত বিষয়ে বাবার সঙ্গে আলোচনা করতে চাইলেও, উনি ফোন ধরেননি। এমনকী, তাঁকে আর্থিক সাহায্যও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন চার্লস-পুত্র। সেজন্য মা ডায়ানার রেখে যাওয়া অর্থের উপর হ্যারিকে ভরসা করতে হয়েছে।
গত বছর মার্চেই রাজপরিবার ত্যাগ করেন ডিউক এবং ডাচেস অব সাসেক্স। পাকাপাকিভাবে উত্তর আমেরিকায় চলে যান হ্যারি-মেগান। প্রসঙ্গত, মেগানের বাবা শেতাঙ্গ হলেও মা আফ্রিকান বংশোদ্ভূত। আর মায়ের গায়ের রং পেয়েছেন মেগান।
এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। মেগানের কথাতে জায়ে জায়ে ঝগড়াও প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এক সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরকে উদ্ধৃত করে মেগানের প্রতি ওপরার প্রশ্ন ছিল — তিনি নাকি বড় জা কেট মিডলটনকে কাঁদিয়ে ছিলেন? জবাবে ছোট জা বলেন, ‘উল্টোটা হল বাস্তব’। পরে মেগানের কাছে কেট ক্ষমা চেয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন হ্যারি-পত্নী।