উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
ব্রিটিশ পার্লামেন্ট চত্বরে সোমবার অর্থাৎ ৮ মার্চ বিকেল সাড়ে চারটেয় এই বিতর্কে অংশ নেন সংশ্লিষ্ট এমপিরা। এবিষয়ে লন্ডনের ভারতীয় হাই কমিশনের দাবি, ‘ভ্রান্ত ধারণা’র উপর ভিত্তি করে পুরোপুরি ‘একপেশে আলোচন’ হয়েছে ওই বিতর্কে। ই-পিটিশনের ভিত্তিতে ওই বিতর্কের পর ভারতীয় হাই কমিশনের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়, ভারসাম্যপূর্ণ বিতর্কের পরিবর্তে পর্যাপ্ত তথ্য ছাড়াই ভ্রান্ত ধারণার ভিত্তিতে আলোচনা চালানো হয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ও তার প্রতিষ্ঠানগুলির কাজকর্ম সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি।
এর আগে ব্রিটিশ সরকার একাধিকবার বলেছে, কৃষি সংস্কারের লক্ষ্যে যে তিনটি আইন তৈরি হয়েছে, তা ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’। তা সত্ত্বেও একদল ব্রিটিশ এমপি এই ইস্যুতে পার্লামেন্টে বিতর্কের আয়োজন করায় স্পষ্ট ভাষায় অসন্তোষ প্রকাশ করা হল ভারতীয় হাই কমিশনের তরফে। বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হল, ভারতে কৃষক আন্দোলন নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে খবর করার সুযোগ পেয়েছে সংবাদমাধ্যম। সেই দলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমও রয়েছে। তাই ভারতে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় অভাব রয়েছে, একথা বলার কোনও অর্থই হয় না। ওই পিটিশনে যেসব বিষয় উত্থাপন করা হয়েছে, তার সব কিছু নিয়ে দিনের পর দিন ধরে তথ্য জানিয়ে আসছে ভারতীয় হাই কমিশন। তা সত্ত্বেও কৃষক আন্দোলন নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা গড়ে তোলা হচ্ছে। ভারতকে নিয়ে যেভাবে সন্দেহ ও আশঙ্কার পরিবেশ গড়ে তোলা হয়েছে, সেকথা মাথায় রেখে প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য হল হাই কমিশন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ছোট পরিসরে ছোটখাটো দলে পার্লামেন্টের সম্মানীয় সদস্যরা অভ্যন্তরীণ আলোচনায় অংশ নিলে সেবিষয়ে সাধারণ মন্তব্য করা থেকে দূরেই থাকে ভারতীয় হাই কমিশন। যদিও, বন্ধুত্ব ও ভালোবাসার দাবি করা সত্ত্বেও কেউ যদি ঘরোয়া রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণে ভারতকে নিয়ে সন্দেহ ও আশঙ্কা প্রকাশ করে, তাহলে তার সোজা সাপ্টা জবাব দেওয়া প্রয়োজন।
কৃষি আইনের বিরোধিতা করার জন্য প্রতিবাদীদের উপর ‘বল প্রয়োগ’ ও সাংবাদিকদের নিশানা বানানোর অভিযোগে সোমবার ওই বিতর্কে অংশ নেন বিভিন্ন দলের প্রায় এক ডজন ব্রিটিশ এমপি। সেই সূত্রেই ভারতীয় হাই কমিশনের এই কড়া প্রতিক্রিয়া সামনে এল। পশ্চিম লন্ডনের ইলিং সাউথহলের লেবার পার্টির এমপি বীরেন্দ্র শর্মা বলেন, দু’পক্ষেরই উচিত অনড় অবস্থান থেকে সরে আসা। সমঝোতায় পৌঁছনোটা যে প্রয়োজন, তা বুঝতে হবে দু’পক্ষকেই। আমার আশা, এবিষয়ে (ব্রিটিশ) সরকার সহযোগিতার হাত বাড়াবে। যাতে দু’পক্ষের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে এই ইস্যুর সমাধান সম্ভব হয়।
বিতর্কটি অনুষ্ঠিত হয় হাইব্রিড ফর্মে। কিছু এমপি লন্ডনের পোর্টকালিস হাউসের একটি ঘরে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে আলোচনায় অংশ নেন। ওই ই-পিটিশনের শিরোনাম ছিল ‘প্রতিবাদীদের নিরাপত্তা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে ভারত সরকারের কাছে আর্জি’। লিবারেল ডেমোক্র্যাট এমপি তথা ফরেন অ্যাফেয়ার্স মুখপাত্র লয়লা মোরান বলেন, আমরা আজ (সোমবার) সরকারকে তার দায়দায়িত্বগুলি চিনিয়ে দিতে পেরেছি। গণতন্ত্রের এই শক্তিকে ধন্যবাদ জানাই। পিটিশনটির প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিলেন কাউন্সিলার গুর্চ সিং। ১ লক্ষের বেশি সই সহ সেই পিটিশনই সরকারকে ওই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুটিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টায় বাধা দিল।