উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
প্রসঙ্গটি প্রথম উত্থাপন করেছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। ফেব্রুয়ারি মাসে এক সভায় তিনি বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁকে বলেছেন, নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় বিজেপির শাখা খোলা হবে। তারপরেই শুরু হয়েছিল সমালোচনা। দুই প্রতিবেশী দেশের সরকারও আনুষ্ঠানিকভাবে ওই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছিল। পরিস্থিতি সামলাতে আসরে নামতে হয়েছিল সঙ্ঘ ও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। বিপ্লব দেবের ওই মন্তব্যকে অনেকেই ‘রসিকতা’ হিসেবে দেখেছিলেন। কেউ বলেছিলেন, তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে। আসলে তিনি বলতে চেয়েছেন শ্রীলঙ্কা ও নেপালে ভারতীয় জনতা পার্টির আদর্শ পৌঁছে যাবে।
বস্তুত, সেই ঘটনাই ঘটল শ্রীলঙ্কায়। দলের ইস্তাহার প্রকাশ করে মুথুস্বামী বলেন, পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য কাজ করবে তাঁর দল। তবে, সেজন্য সরকারের সঙ্গে কোনওরকম সংঘাতে যাবে না তারা। এসএলবিজেপি সুপ্রিমো বলেন, দেশবাসী যাতে চাকরি পায় সেজন্য তাঁদের ইংরেজি ও সিংহলি ভাষা শেখাব। সিংহলে তাঁর দলের নাম হবে শ্রীলঙ্কা ভারতীয় জনতা পক্ষ।
শ্রীলঙ্কায় বিজেপির আত্মপ্রকাশের পরেই ট্যুইটারে এসএলবিজেপি সুপ্রিমোর সাংবাদিক বৈঠকের একটি স্ক্রিনশট পোস্ট করেন বিজেপি নেতা রাম মাধব। কোনও মন্তব্য না করলেও সেখানে ‘শ্রীলঙ্কা ভারতীয় জনতা পার্টি’ লিখে একটি ‘স্মাইলি’ পোস্ট করেছেন তিনি। মুথুস্বামীও বলেছেন, ভারত যদি আমাদের সাহায্য করে, তাহলে তা আমরা সংবাদমাধ্যমকে জানাব।
কয়েকমাস আগে শ্রীলঙ্কার শাসকদল পুদুজানা পেরামুনার (এসএলপিপি) চিফ অর্গানাইজার বাসিল রাজাপাকসে বলেছিলেন, তাঁর দলকে ভারতীয় জনতা পার্টি এবং চীনের কমিউনিস্ট পার্টির মতো শৃঙ্খলাপরায়ণ করতে
চাই। যাতে দলের কর্মীরা সাফল্যের স্বাদ পায়। তবে, রাজাপাকসেও বিজেপি-যোগের কথা উড়িয়ে দিয়েছেন। শ্রীলঙ্কায় বিজেপি গঠনের পর প্রশ্ন উঠছে, নেপালের পালা কবে?