উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
গত সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে বেতন বৃদ্ধির খবর সামনে আসে। জানা যায়, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা বিভাগ সংশ্লিষ্ট প্যানেলকে এক শতাংশ বেতন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। এই প্যানেল এবার মে মাসের মধ্যে সরকারকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রিগোষ্ঠীই। এনএইচএস কর্মীদের ক্ষোভের আঁচ পেয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক। ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, আমাদের পক্ষে যতটা বেতন বৃদ্ধি সম্ভব ছিল, তা চেষ্টা করা হয়েছে। বর্তমানে এনএইচএসে জাতিগত সংখ্যালঘু কর্মীর সংখ্যা ২২.১ শতাংশ। সংখ্যার নিরিখে এর মধ্যে ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৪৪৬ জন এশিয়। ব্রিটেনে কর্মরত বিদেশি স্বাস্থ্যকর্মীদের একটা বড় অংশই ভারতীয়। পরিসংখ্যান বলছে, তা প্রায় ২৬ হাজার (২৫ হাজার ৮০৯ জন)। ব্রিটিশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)-র চেয়ারম্যান ডাঃ চাঁদ নাগপাল বলেন, এনএইচএস কর্মীরা দিনরাত এক করে কাজ করেছেন। নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েও রোগীদের বাঁচিয়ে রেখেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি সরকারেরও কিছু নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে। কিন্তু, তারা সেই কর্তব্য পালনে ব্যর্থ। কড়া ভাষায় তিনি জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাপী মহামারীর সময় আশঙ্কাজনক রোগীদের দেখভাল করেছেন চিকিত্সকরা। প্রচণ্ড চাপের মধ্যে অতিরিক্ত সময় তাঁরা কাজ করেছেন। এরজন্য অতিরিক্ত কোনও বেতনও পাননি। চিকিত্সক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের এই অবদানকে সম্মান জানানো উচিত ছিল। কিন্তু সে পথে হাঁটেনি বরিস জনসন সরকার। শুধু তাই নয়, চিকিত্সকদের পেনশনেও কর বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন চ্যান্সেলর। এর ফলে সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যকর্মীরা সমস্যার মুখে পড়েছেন।
যদিও সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে চাননি অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক। ‘বর্তমান’কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাত্কারে তিনি জানিয়েছেন, কর ও আর্থিক নীতির সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই বাজেট তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন খাতে খরচ পর্যালোচনা করার পর দপ্তরগুলির জন্য ব্যয় বরাদ্দ করা হয়েছে। এনএইচএস-এর জন্যও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী অর্থবর্ষে এই খাতে ৩৩ বিলিয়ন পাউন্ড খরচ হবে। যা অন্যান্যবারের থেকে বেশি। একই সঙ্গে, করোনার বিরুদ্ধে লড়াই ও টিকাকরণে অংশ নেওয়া জন্য আগামী বছর স্বাস্থ্যকর্মীরা অনেক টাকা পাবেন। বেতন বৃদ্ধির বিষয়টিও যথাযথভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশ অভিযোগ করছেন, সরকারের তরফে কোনও সাহায্য মেলেনি। এই বক্তব্যও মানতে চাননি সুনাক। তিনি পাল্টা জানান, আমার বাবা জেনারেল প্র্যাকটিশনার ছিলেন। মা-ও ফার্মাসিস্ট হিসেবে কাজ করতেন। আমি জানি, এনএইচএস অসাধারণ কাজ করেছে। করোনা সংক্রমণের সময় আমার বাবাও রোগীদের সেবা করেছেন। তাই তৃণমূল স্তরে কী কাজ হয়েছে তা আমি জানি।