প্রায় সম্পূর্ণ কাজে শেষ মুহূর্তে বাধা পড়ায় বিচলিত হয়ে পড়তে পারেন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষার বিষয়ে ... বিশদ
জিনিসপত্রের দাম দিনকে দিন আকাশ ছুঁলেও আয় বাড়ছিল না। সংসার চালাতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠেছিল সাধারণ মানুষের। স্বস্তির জন্য তাঁরা তাকিয়ে ছিলেন বাজেটের দিকে। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ মোদি সরকার। অন্তত আয়করে ছাড় বাড়িয়ে কিছুটা সুরাহা চেয়েছিলেন আমআদমি। তাছাড়া ঝিমিয়ে পড়া দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে আয়কর ছাড় বাড়ানো প্রয়োজন বলে দাবি তুলেছিল শিল্প মহলও। কারণ সাধারণ মধ্যবিত্তের হাতে টাকা থাকলে তবেই বাজারে বাড়বে চাহিদা। ঘুরবে ধুঁকতে থাকা উৎপাদন ক্ষেত্রের চাকা। সেই বাধ্যবাধকতা থেকে চাকরিজীবীদের জন্য আয়করে ঊর্ধ্বসীমা বৃদ্ধি করতে বাধ্য হলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর তা অনেকের প্রত্যাশাকেই ছাপিয়ে গেল।
এদিন সংসদে পেশ করা ২০২৫-২৬ আর্থিক বছরের সাধারণ বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা, বছরে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কোনও কর দিতে হবে না। আগে যা ছিল ৭ লক্ষ টাকা। চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে এর সঙ্গে যুক্ত হবে ৭৫ হাজার টাকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন। নয়া আয়কর ব্যবস্থার কাঠামোতেও বড়সড় পরিবর্তন পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। নতুন কর ব্যবস্থার কাঠামোয় ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কোনও কর দিতে হবে না। আগে যা ছিল ৩ লক্ষ টাকা। এছাড়া ৪ লক্ষ টাকা থেকে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে ৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। ৮ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত টাকা পর্যন্ত আয়ে করের হার ১০ শতাংশ। ১২ থেকে ১৬ লক্ষ ও ১৬ লক্ষ থেকে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে নতুন কাঠামোয় যথাক্রমে ১৫ ও ২০ শতাংশ হারে কর চাপানোর প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। বছরে ২০ লক্ষ টাকা থেকে ২৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে ২৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। ২৪ লক্ষ টাকার বেশি আয়ে তা দাঁড়াবে ৩০ শতাংশ হারে। আগামী সপ্তাহে পেশ হতে চলেছে নতুন আয়কর বিল।
মধ্যবিত্তের পাশাপাশি জোটের শরিক নীতীশ কুমারের দল জেডিইউকে তুষ্ট করতে চেষ্টার কসুর করেননি নির্মলা। মাখনা বোর্ড থেকে গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দর, নতুন ফুড টেকনোলজি প্রতিষ্ঠান থেকে কোশি নদীতে খাল প্রকল্পে আর্থিক বরাদ্দ-এমনই নানা বড় বড় প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে বাজেটে। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে ছাড়েনি বিরোধীরা। এমনকী ইতিমধ্যেই মিমের বন্যা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে।