প্রায় সম্পূর্ণ কাজে শেষ মুহূর্তে বাধা পড়ায় বিচলিত হয়ে পড়তে পারেন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষার বিষয়ে ... বিশদ
২০৪৭ সালে বিকশিত ভারত, কয়েক বছরের মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম আর্থিক শক্তি, ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি—প্রতিশ্রুতি এবং প্রচারের শেষ নেই। অথচ বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, শিল্পোৎপাদন হ্রাস, বিদেশি লগ্নির পতন, রপ্তানি বাণিজ্যে ভাটা, টাকার মূল্যের মহাবিপর্যয়ের যোগফল বাজেটের মুখেই পাওয়া গেল। সংসদে পেশ করা আর্থিক সমীক্ষায় জানানো হয়েছে আগামী অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে চলেছে ৬.৩ থেকে ৬.৮ শতাংশ। অর্থাৎ জিডিপির ৭ ছাপিয়ে ৮ শতাংশে লাফ দেওয়ার প্রচার মুখ থুবড়ে পড়ল। সাধারণত প্রতিটি বাজেটে অর্থমন্ত্রীর কাছে একটি-দু’টি প্রধান চ্যালেঞ্জ সামনে থাকে। নির্মলা সীতারামনের সামনে কিন্তু চ্যালেঞ্জের পাহাড়। সবার আগে মানুষের হাতে নগদ জোগানের ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ বাজারের কেনাবেচা থমকে গিয়েছে। গ্রামীণ এবং শহুরে পণ্য বিক্রি বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে। সবথেকে বড় সঙ্কটে যথারীতি গরিব ও মধ্যবিত্ত। ভারতে ৫৭ কোটি মধ্যবিত্তের বসবাস। তারাই অর্থনীতির মেরুদণ্ড। সেই মধ্যবিত্তের কাছে কর্মসংস্থান নেই, সঞ্চয় কমে যাচ্ছে, মূল্যবৃদ্ধির জেরে উদ্বৃত্ত অর্থ থাকছে না। তাই ক্রয়ক্ষমতা কমছে। উপরন্তু মোদি সরকারেরই আর্থিক সমীক্ষায় রীতিমতো আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই নিয়ে। সাফ জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, গবেষণা, ব্যবসা এবং আর্থিক পরিষেবার মতো সেক্টরে সিদ্ধান্ত এবং নীতি নির্ধারণেও মানুষের ক্ষমতাকে ছাপিয়ে যাচ্ছে এআই। এর ফলে কর্মক্ষেত্রের মধ্য এবং নিচু স্তরে ব্যাপক আকারে ছাঁটাই হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। এই চ্যালেঞ্জও কিন্তু অর্থমন্ত্রীর সামনে রয়েছে। সেইসব সামলে আজ বাজেটে কী দাওয়াই দেবেন তিনি? মধ্যবিত্তের সবথেকে বড় দাবি কিন্তু আয়করে বড়সড় ছাড়। বিশেষ করে, বৃহত্তম করদাতা গোষ্ঠী কিছুই পাচ্ছে না। এই কারণেই অন্যতম জল্পনা হল, স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন অথবা বেসিক এক্সেম্পশন বাড়ানো হতে পারে। ১৫ থেকে ১৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ের করদাতাদের জন্য বিশেষ ঘোষণার জল্পনা তাই চলছেই। হতে পারে নতুন একটি ট্যাক্স স্ল্যাব (২৫ শতাংশ)। একটি দাবি অর্থমন্ত্রকে জোরদারভাবে জমা পড়েছে—সাড়ে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করছাড়ের সুবিধা দেওয়া হোক।
আজ কোন পঞ্চবাণ সামলানোর দিশা দেখাতে হবে অর্থমন্ত্রীকে? বেকারত্ব, খাদ্য-মূল্যবৃদ্ধি, শিল্পোৎপাদন হ্রাস, বাণিজ্য ঘাটতি এবং টাকার পতন! হিন্দুত্ব ছাড়া বিকাশের কোনও ব্রহ্মাস্ত্র কি আদৌ আছে মোদি সরকারের হাতে? বোঝা যাবে আজ!